হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে জীবিকার সন্ধানে পথে নামতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের। কৃষকরা শীতের মাঝেই জমিতে চাষাবাদ ও জমির পরিচর্যা করতে দেখা গেছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন চা শ্রমিকরা। অনেকে শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন পার করছেন। শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করছে সচেতন মহল।
শিক্ষানবিশ আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মন্টি বলেন, হবিগঞ্জ জেলার চারদিকে হাওর, নদী, পাহাড় আর চা-বাগান রয়েছে। এছাড়া ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য আমাদের হবিগঞ্জ সংলগ্ন হওয়ায় এখানে শীত অনেকটা বেশি। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার গ্রাম ও চা-বাগানগুলোতে এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সদস্য ও মাধবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হাসান বলেন, শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এসময় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন।
মাধবপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আল মামুন জানান, শীতের কারণে মানুষ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এই সময়টাতে শিশুদের ও বৃদ্ধদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে।