হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় কাশ্মীরি ও বনসুন্দরী বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে অন্তত দুই কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা জেগেছে বলে জানা গেছে।
আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ও কৃষকদের ব্যক্তি উদ্যোগে উপজেলাজুড়ে বরইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন শেষে প্রায় দুই কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি কৃষি অধিদপ্তরের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার শতাধিক কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাগণ প্রায় ১০ থেকে ১২ হেক্টর জায়গাজুড়ে ভাগে ভাগে বরইয়ের বাগান করেছেন। এসব বাগান থেকে ২০০ থেকে ২৪০ টন বরই উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগামী সপ্তাহে বা জানুয়ারির প্রথম থেকেই পুরোদমে বাজারজাত করতে পারবেন কৃষি উদ্যোক্তাগণ। বিভিন্ন জাতের মধ্যে কাশ্মীরি, বনসুন্দরী, বাউকুল, আপেলকুলসহ দেশীয় জাতের বরই রয়েছে। তবে উপজেলার এক তৃতীয়াংশ কৃষক-কৃষাণী কাশ্মীরি বরই ও বনসুন্দরী বরই বেশি চাষ করেছেন। এর মধ্যে গাজীপুর, রানীগাঁও ও দেওরগাছ ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশি জায়গাজুড়ে বরই চাষ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বরই চাষি মিজানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাগণের সহযোগিতা ও আমাদের পরিশ্রমের ফল স্বরূপ আমরা লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। চাহিদার চেয়েও ভালো ফলন পাবো বলে আমরা আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সজিব হোসেন বলেন, জানুয়ারি থেকে পুরোদমে চাষিরা বরই বাজারজাত করতে পারবেন এবং বাজারদর প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলাজুড়ে দুই কোটি টাকারও বেশি বরই বাজারজাত করা সম্ভব।