নিরীহ পশুর সঙ্গে অধ্যক্ষের অমানবিক আচরণ!

নিরীহ গো-ছানার সঙ্গে ভয়ানক অমানবিক আচরণ করেছেন সুনামগঞ্জের মঈনুল হক কলেজের অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান। কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে গাছের পাতা খাওয়ার অপরাধে ধারালো রড দিয়ে ঘাই মেরে গুরুতর আহত করেছেন গো-ছানাটিকে। প্রায় ৩০ মিনিট গাঁথা রড নিয়ে গো-ছানাটি এলোমেলো দৌড়াদৌড়ি করার পর এক ব্যক্তি গায়ে গাঁথা রডটি অপসারণ করেন।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে পশুর সঙ্গে শিক্ষক এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে বুধবার সকালে সরদারপুর গ্রামের এক কৃষকের একটি গোছানা মঈনুল হক কলেজে ঢুকে ক্যাম্পাসে লাগানো ফুলের পাতা খেয়ে ফেলে। এ ঘটনা দেখে কলেজের শ্রেণিকক্ষে সপরিবারে অবস্থানরত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ধারালো রড দিয়ে গো-ছানাটিকে সজোরে ঘাই মারেন। ধারালো রডটি গো-ছানার মেরুদণ্ডের পিছনের অংশে এফোড়-ওফোড় হয়ে যায়। এতে গোছানাটি ডাকাডাকি করে উন্মাদের মতো দৌড়াদৌড়ি শুরু করে।

প্রায় আধা ঘন্টা পর গো-ছানার হাম্বাধ্বনী-চিৎকার শুনে সরদারপুর গ্রামের কয়েকজন ব্যক্তি গো-ছ্নাটি ধরে ধারালো রডটি অপসারণ করেন। পরে প্রাণি চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা করান।

সরদারপুর গ্রামের ইউপি সাবেক ইউপি সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, গো-ছানাটি আমার নিকটাত্মীয়ের। বিতর্কিত অধ্যক্ষ ধারালো রড দিয়ে ঘাই মেরে অমানবিক আচরণ করেছেন। এর আগেও তিনি দুই ছাত্রীকে কোদাল দিয়ে আহত করেছিলেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবরে শিক্ষার্থীরাও আবেদন করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনিয়মের প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

সিলেট বাপার সেক্রেটারি আব্দুল করিম কিম বলেন, একজন শিক্ষক পশুর সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা পশুত্বকেও হার মানিয়েছে। নিন্দনীয় এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিচার হওয়া উচিত।

কলেজের অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘এখন কথা বলতে পারবেন না।’