সারাদেশে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের সব বই এখনো পৌঁছায়নি। বই উৎসবের আর মাত্র দুইদিন বাকি থাকলেও উপজেলা পর্যায়ে এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশের মতো বই পাঠানো হয়েছে।
এবার কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। আর মাধ্যমিকের বই উৎসব নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মুড়াপাড়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো নিয়ম মাফিক আগামী ৩১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণির একজন করে শিক্ষার্থীকে এক সেট করে বই দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করবেন তিনি।
বিষয়টি জানিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, খুবই আড়ম্বরপূর্ণভাবে সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে। করোনার কারণে যেহেতু গত দুই বছর উৎসব হয়নি, এ বছর আমরা প্রতিটি জেলা-উপজেলায় জানিয়ে দিয়েছি আড়ম্বরপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে বই দেওয়ার জন্য। আমরা বেশিরভাগ বই পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, সারাদেশে একযোগে বই উৎসব পালিত হবে। সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিজ নিজ জেলায় এ উৎসব পালন করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিকের বই উৎসব ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হবে। মাধ্যমিকের বই উৎসব এবার মন্ত্রী (শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি) করবেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। উপজেলার মুড়াপাড়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে হবে এ উৎসব। এর আগের দিন ৩১ ডিসেম্বর সকালে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সাড়ে ৩৪ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এরমধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি মিলিয়ে এই স্তরে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৩ হাজার এবং মাধ্যমিক স্তরে স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি মিলিয়ে ২৪ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বই ছাপা হচ্ছে ২ লাখ ১২ হাজার ১৭৭ কপি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এখন পর্যন্ত মাধ্যমিকের ৮১ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেছে। আর প্রাথমিকে গত রোববার পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে পৌঁছেছে ৬৮ শতাংশ বই। কাগজ ও কালির সংকট, ঊর্ধ্বমুখী দাম, ছাপা সরঞ্জামের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং, দুটি শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম এনসিটিবির কার্যাদেশে দেরি ইত্যাদি কারণে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে নতুন বই পাবে না অনেক শিক্ষার্থী। শুরুর দিকে ছাপানো মাধ্যমিকের বইগুলো মানসম্মত হলেও কাগজ সংকটের কারণে এখন নিম্নমানের বই ছাপানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।