পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই সামিরা খান মাহির। এক লহমায় দর্শক বন্দী হন তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়াজালে। ছোটপর্দায় এরইমধ্যে নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন তিনি। এবার সেরা হলেন টিকটকে। প্ল্যাটফর্মটির প্রকাশ করা বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
২০২২ সালে টিকটকে যে ভিডিওগুলো প্রকাশ পেয়েছে সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে সামিরা মাহির কন্টেন্টগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এদিকে টিকটকে শীর্ষস্থানে আসার বিষয়টি মাহি নিজেও জানতেন না। তার এক বন্ধু তাকে এ খবর জানায়।
মাহি বলেন, “বিষয়টা আমার এক ফ্রেন্ডের মাধ্যমে জানতে পারি। ও নিজেও এই তালিকায় আছে। তো আমাকে একটা স্ক্রিনশট পাঠানোর পর আমি দেখি, ওর নাম তিন নাম্বারে। কিন্তু তখনও আমি আমার ব্যাপারটা জানতাম না। পরে দেখি এক নাম্বারে লেখা ‘সামিরা’ নামটি। বুঝতে পারছিলাম না সেটা আমি কি না। পরে চেক করে দেখি এটা তো আমি!”
টিকটকে সামিরা মাহির রয়েছে ৪৫ লাখের বেশি অনুসারী। বছর শেষে এ অর্জনে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি। সেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘অবশ্যই এটা ভালো লাগার বিষয়। একটা প্ল্যাটফর্মে এত মানুষ সক্রিয় আছেন। সেখানে আমার ভিডিওগুলো বেশি দেখেছেন, এজন্য আনন্দিত। তা ছাড়া টিকটক নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক কথাবার্তা বলেন, তো সেই প্ল্যাটফর্মে যখন ভালো কিছু করে স্বীকৃতি পাই, সেটার আনন্দ তো একটু বেশিই বটে।’
সামাজিক মাধ্যমগুলোর মধ্যে টিকটকের জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। ক্ষুদে ভিডিও দিয়ে বিনোদন বা সচেতনতামূলক বার্তা ছড়ানোর উপযুক্ত জায়গা এটি। তবে টিকটক নিয়ে আলচনার চেয়ে সমালোচনাই বেশি। কিন্তু মাহি মনে করেন এটি নির্ভর করছে ব্যবহারকারীর ওপর। টিকটকে মানহীন কন্টেন্টের সংখ্যা কমে আসছে। অনেকেই এর মাধ্যমে নিজেদের সৃজনশীলতা ও মেধার জানান দিচ্ছেন। এটি অবশ্যই টিকটককে ইতিবাচক হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হবে।