২০২৩ সালের জুন থেকে ঢাকা-সিলেট রুটে চলবে নতুন বিরতিহীন ট্রেন। ট্রেনটি বিরতিহীন হলেও শুধুমাত্র শায়েস্তাগঞ্জে একটি স্টপেজ রাখার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৪তম বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করেন ওই কমিটির সদস্য ও হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ।
এর প্রেক্ষিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এমপি ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারাম্যান এ.বি.এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি প্রস্তাবটি আমলে নেন এবং জনসাধারণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আগামী ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে সিলেটের জন্য ননস্টপ ট্রেন কোচ চালু করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি, মো. শফিকুল আজম খান এমপি, মো. সাইফুজ্জামান এমপি, এইচ এম ইব্রাহিম এমপি, নাছিমুল আলম চৌধুরী, বেগম নাদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি ও রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের বরাতে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এমপি এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে বিরতিহীন ও দ্রুতগতির ট্রেন জন্য সিলেট বিভাগের মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। বিরতিহীন হলেও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে একটি স্টপেজ রাখার কথা আলোচনা হচ্ছে। বৈঠকে ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-ঢাকার ডুয়াল গেজের কাজ দ্রুত শুরু করা ও শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনের উন্নয়ন ও টিকিট বাড়ানোর জন্যও আমি জোর সুপারিশ করেছি।
গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এমপি বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে সিলেটের মানুষ রেল ভ্রমণের প্রতি আকৃষ্ট। প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট রুটে হাজার হাজার মানুষ রেলে যাতায়াত করেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এই রুটে ট্রেনের সংখ্যা একেবারেই কম। যাত্রীরা চাহিদামতো টিকিট পান না। তাছাড়া যে কয়টা আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে, সেগুলোর প্রচুর স্টপজ থাকায় যাত্রীদের সময়ক্ষেপণ হয়। যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে উক্ত রুটে একটি দ্রুতগ্রামী নন-স্টপ ট্রেন চালু করা হলে বৃহত্তর সিলেটের জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এমপি আরও বলেন, সিলেটকে বিভাগ করার পেছনে আমার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত দেওয়ান ফরিদ গাজীর অবদান অনস্বীকার্য। আমি এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট বিভাগের মানুষের জন্য রেল যোগাযোগ সহজ করতে কাজ করে যাচ্ছি।