পোশাক খোলায় আটক আর্জেন্টাইন নারী সমর্থক

কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে আসা বিদেশি দর্শকদের মার্জিত পোশাক পরার আহ্বান জানিয়েছিল আয়োজক দেশটি। দেশটিতে আগত নারী ফুটবলভক্তদের খোলামেলা পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে অনুরাধ করেন তারা। কাতারের বিদ্যমান আইনে নারীদের খোলামেলা পোশাক পরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

ফিফার ওয়েবসাইটেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ফুটবলভক্তরা কাতারে তাদের পছন্দের পোশাক পরতে পারেন। তবে কাতারের আইনের প্রতি প্রত্যেককে সম্মান দেখাতে হবে।

পোশাকিবিধি না মানার জন্য এবারের কাতার বিশ্বকাপে আলোচনায় ছিলেন ক্রোয়েশিয়ার মডেল ইভানা নল। এছাড়া সমকামী প্রতীকের পোশাক পরায় মার্কিন এক সাংবাদিককেও হেনস্তার অভিযোগ ওঠে।

এবার আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফাইনাল ম্যাচে পোশাকবিধি না মানায় এক নারী ফুটবলভক্তকে আটক করেছে কাতার। গঞ্জালো মন্টিয়েলের জয়সূচক পেনাল্টি কিকের পর ওই ভক্ত তার শরীরের পোশাক খুলে ফেলে উল্লাস করেন। সেসময় গ্যালারির ক্যামেরা ওই দর্শকের দিকে চলে গিয়েছিল।

এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের কাতার বিশ্বকাপে আরব দেশের নারী ফুটবলভক্তদের বোরকা-হিজাব ধরনের পোশাক পরার বিধান থাকলেও অ-আরব দেশগুলোর জন্য ক্লিভেজ দেখানো পোশাক পরতে নিষেধ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নারীর বিষয়ে একজন লিখেছেন, ‘আমি তাকে দেখেছি, খুব সাহসী! সে সাবধান না হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।’

অন্য একজন ওই নারীকে সমর্থন জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি মেসি ও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ উদযাপন করতে আবরণহীন স্তনের ছবি পোস্ট করবো।’

লুসাইল স্টেডিয়ামে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা ফাইনালগুলোর একটি উপহার দিয়েছে আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ৬ গোলের রোমাঞ্চ, উত্তেজনায় ভরা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়। পরে টাইব্রেকারে এমিলিয়ানো মার্তিনেসের নৈপুণ্যে ৪-২ ব্যবধানে জিতে উল্লাসে মাতে লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়নরা।

বিশ্ব সেরার মঞ্চে ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে দিয়েগো মারাদোনার একক নৈপুণ্যে নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলেছিল আলবিসেলেস্তেরা। লম্বা সময় পর ঠিক যেন কিংবদন্তির পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন মেসি। তার কাঁধে ভর করেই তৃতীয় শিরোপা জিততে পেরেছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।