যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্রোহিতাসহ চারটি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি তদন্ত কমিটি। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে যাওয়ার পর নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন তার সমর্থকরা। এরপর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালান তারা। এ বিষয়টি তদন্তে গঠিত কমিটির সদস্যরা এই হামলার পেছনে ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন। তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্রোহিতাসহ মোট চারটি অভিযোগে বিচার করার সুপারিশ করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে বিচার করা হয় এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে তার ৪০ বছরের জেল হতে পারে। এতে করে সামনের বছর আর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তিনি।
২০২০ সালের নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি জো বাইডেনকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রত্যয়িত করা হয়েছিল। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাইডেনের প্রত্যয়ন ঠেকাতে তিনি দাঙ্গা উসকে দিয়েছিলেন। যা সহিংসতায় রূপ নিয়েছিল।
তদন্ত কমিটি ক্যাপিটাল হিলের ঘটনায় ট্রাম্পের সম্পৃক্ততা এবং উস্কানি নিয়ে দীর্ঘ ১৮ মাস তদন্ত করেন। এরপর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ আনার সুপারিশ করেছেন তারা। সেগুলো হলো—দ্রোহিতায় উস্কানি ও সহযোগিতা করা, সরকারি কাজে বাধা, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতারিত করার চক্রান্ত এবং মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা।
কংগ্রেসের তদন্ত কমিটি এ ধরনের সুপারিশ করার পর এর বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এটিকে ‘ক্যাঙ্গারু আদালত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে বিচার করা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবে বিচার বিভাগ। কংগ্রেসের তদন্ত কমিটির সুপারিশ পালন করতে বাধ্য নন তারা। কংগ্রেসের তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ করেছে তা পুরোটাই প্রতীকী।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভোটারদের ইচ্ছাকে ধুলিস্যাৎ করে দিতে ট্রাম্প ‘একাধিক চক্রান্ত’ করেছেন। তিনি জানতেন ২০২০ সালের নির্বাচন স্বচ্ছ ছিল। তবুও তিনি এটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছিলেন। সহিংসতা শুরুর আগে সরকারি কর্মকর্তা, বিচার বিভাগ এবং তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্টকে দিয়ে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে দাঙ্গা উসকে দেন তিনি।’
সূত্র : বিবিসি