মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনুশীলনের ব্রত নিয়ে সিলেটে আবারও শুরু হচ্ছে বইপড়া উৎসব। এতে অংশ নিচ্ছে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আগামী মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার প্রাঙ্গণে উদ্বোধন হবে এ উৎসবের। এ বছর উৎসবটির চতুর্দশ আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের পাশাপাশি সিলেটের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকবেন। এদিন উৎসবে নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের হাতে নির্বাচিত বইটি তুলে দেয়া হবে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের বেলা ২টায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফলের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা। গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন উপ-কমিটি। শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগসহ উৎসবের বিভিন্ন দিক নিয়ে হচ্ছে দফায় দফায় সভা।
বইপড়া উৎসবের প্রধান উদ্যেক্তা এবং ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক প্রণবকান্তি দেব জানিয়েছেন, এবারের আসরে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকেও শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, বরাবরের মতো জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এবারের উৎসব শুরু হবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের পাশাপাশি রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষার্থীদের তাঁর গল্প শোনাবেন। আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আশ্রয়ী নির্বাচিত বইটি। দুই বিভাগের জন্য দুটো পৃথক বই দেয়া হবে।
বইপড়া উৎসবকে দেশকে জানার, দেশকে ভালোবাসার উৎসব আখ্যায়িত করে প্রণবকান্তি দেব অনুষ্ঠান সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ‘জ্ঞানের আলোয় অবাক সূর্যোদয়/ এসো পাঠ করি/ বিকৃতির তমসা থেকে/ আবিষ্কার করি স্বাধীনতার ইতিহাস’ – এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৬ সাল থেকে ইনোভেটর এ উৎসবের আয়োজন করে যাচ্ছে। এ বছর জেলা পরিষদ, সিলেট এবং ইনোভেটর যৌথভাবে বইপড়া উৎসবের আয়োজন করছে। ইতোমধ্যে বইপড়া উৎসবে অংশ নিয়েছে প্রায় ষোল হাজার শিক্ষার্থী।