সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য যথাযথভাবে উপস্থাপনা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন-কর্ম নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। দেশের জন্য তাদের অবদান স্মরণ রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরভবনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী লে. কর্ণেল ডাক্তার আবুল ফজল জিয়াউর রহমানকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। শহীদের মেয়ে শাহরিন রহমান লুবনার হাতে সম্মাননা তোলে দেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
স্বাধীনতার ৫১ বছর পর সিলেটে আসা শহীদ বুদ্ধিজীবী লে. কর্ণেল ডাক্তার আবুল ফজল জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান, কাউন্সিলর এ কে এ লায়েক, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুল হক, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হাসান মোরশেদ, সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, শহীদের জামাতা বজলুর রহমান রাসেল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের সময় লে. কর্ণেল ডাক্তার আবুল ফজল জিয়াউর রহমান সিলেট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারিন্টেডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৪ এপ্রিল গৃহবন্দি অবস্থায় তাঁকে মেডিকেল কলোনীর একটি বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। এরপর আর তাঁর খোঁজ মেলে নি। কিছুদিন পর তাঁর পরিবারকে পাক বাহিনীর রসদবাহি একটি বিমানে করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।