প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণবিরোধী প্রচারণায় সিলেটে সুরমা নদীর কিন ব্রিজ এলাকায় স্থপতিদের ‘করুক’ স্থাপত্য উন্মোচন করা হয়েছে। প্রদর্শন চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থাপত্য এলাকায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উন্মোচন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. বদরুল হক।
উন্মোচন আনুষ্ঠানিকতার পর সন্ধ্যায় সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী আজিজুল মাওলা স্থাপত্য পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আমেরিকার ক্লাফলিন ইউনিভার্সিটির বায়োটেকনিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন চৌধুরী।
স্থাপত্য উন্মোচন পর্বে বক্তব্যে সিসিকের সিইও বদরুল হক বলেন, জনসচেতনতায় এরকম স্থাপত্য প্রদর্শনী চমৎকার এক উদ্যোগ। নতুন প্রজন্মকে সচেতন করতে এ রকম উদ্যোগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক করলে প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণের বিরুদ্ধে কার্যকর সুফল পাওয়া যাবে।
উন্মোচন পর্বে সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান স্থপতি রাজন দাশ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, করুক-পরামর্শক উপদেষ্টা উজ্জ্বল মেহেদী ও উদ্যোক্তা স্থপতি মিনহাজুল আবেদীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
উন্মোচন পর্বের পর চিত্রণ স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণবিরোধী সচেতনতামূলক চিত্রাঙ্কন করে।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির নবীন স্থপতিরা অস্থায়ী স্থাপত্যটি নির্মাণ করেছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে করা স্থাপত্যকর্মটির ‘করুক’ নাম দেওয়া হলেও দুটো বিরল প্রজাতির মাছের প্রতীকী রূপ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিলুপ্তির তালিকায় থাকা বাঘাইড়। বাঘ মাছ নামে পরিচিত এই মাছটির পেটে প্লাস্টিক বর্জ্য রেখে বিপন্নতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
‘করুক’ স্থাপত্যে দুটো বৃহৎ আকৃতির মাছের প্রতীকী উপস্থাপন করে দেখানো হয়েছে, প্লাস্টিক দূষণ নীরবে জলজ প্রাণীর প্রাণ সংহার কী করুণভাবে করছে। জলজ দুই প্রাণীর স্থাপত্যে ব্যবহার করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব উপকরণ বিশ্ব ঐতিহ্য শীতলপাটি ও পাটজাত দ্রব্য। মাছের খাবার হিসেবে পেটে পুরে রাখা হয়েছে প্লাস্টিক। নদীর জলে যত্রতত্র প্লাস্টিক না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার আহ্বানে এই ডাস্টবিন রাখা হয়েছে।
সবার জন্য উন্মুক্ত এই স্থাপত্য প্রদর্শনী চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওইদিন বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠান হবে।