মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ থেকে তাদের ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া শুরু করবে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৬২ জন রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করেছে। এদের মধ্যে ৮ ডিসেম্বর তারা অল্প কিছু রোহিঙ্গাকে নেবে।’
মোমেন মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভালস নয়েসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন।
মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই (যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিছু রোহিঙ্গাকে নেবে)। এটা (রোহিঙ্গাদের সংখ্যা) সমুদ্রের একটি ফোঁটা মাত্র।’
মোমেন বলেন, এর আগে তিনি অন্তত এক লাখ রোহিঙ্গাকে নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, কারণ বাংলাদেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের ঘনত্ব অনেক কম।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ভালো পদক্ষেপ কারণ, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের নেওয়া শুরু করতে চলেছে এবং ওয়াশিংটন প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে কিছু কিছু রোহিঙ্গা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবন দেখতে চায়।
মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগণের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন, জীবিকা ও তৃতীয় দেশের পুনর্বাসনের বিষয়ে আলোচনা করেন। কক্সবাজার ও ভাষানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে গত শনিবার বাংলাদেশে এসেছেন মার্কিন সহকারী সচিব।