ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও আসাম সরকারের সহযোগিতায় আসামের শিলচরে অনুষ্ঠিত ৩ দিনব্যাপী শিলচর সিলেট ফেস্টিভ্যাল ২০২২ এ যোগদান করেছেন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, সিলেট ওমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রতিনিধিগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ০২ ডিসেম্বর তারিখে শুরু হওয়া এ ফেস্টিভ্যালে সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের নেতৃত্বে যোগদান করেছেন ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট এ প্রতিনিধিদল।
ফেস্টিভ্যাল এর ২য় দিন অদ্য ০৩ ডিসেম্বর, শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত ট্রেড এন্ড কমার্স সেশনে সভাপতিত্ব করেন মিজোরাম এর গভর্নর কম্ভাপতি হরি বাবু।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আসাম সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
ট্রেড এন্ড কমার্স সেশনের প্যানেল ডিসকাশন পর্বে সভাপতিত্ব করেন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনে গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য অরুণ কুমার সাহনি এবং কো-চেয়ারম্যান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান। তিনি সিলেটের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে ৩ দিনব্যাপী শিলচর সিলেট ফেস্টিভ্যাল ২০২২ আয়োজনের জন্য ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও আসাম সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দনের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
প্যানেল ডিসকাশন পর্বে বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর পরিচালক তাহমিন আহমদ।
তিনি বলেন, শিলচর ও সিলেটের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সীমান্তের দুই পাড়ে বসবাস করলেও পরিবেশ, জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতির দিক থেকে আমরা অভিন্ন। তিনি ৩ দিনব্যাপী ফেস্টিভ্যালটি আয়োজন এবং এতে সিলেট চেম্বার অব কমার্স ও সিলেটের অন্যান্য চেম্বারগুলোকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আয়োজকগণকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আসাম ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নয়নে করিমগঞ্জ-জকিগঞ্জ বর্ডারে কুশিয়ারা নদীর উপর সেতু নির্মাণ, মেঘালয়ের কয়লা আসামের অভ্যন্তর দিয়ে পরিবহনের অনুমতি প্রদান, বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে বিরাজমান বাঁধাসমূহ দূরীকরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সহ বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান পরিচালক আবু তাহের মো. শোয়েব, সিলেট ওমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি স্বর্ণলতা রায় ও ভারতীয় ব্যবসায়ী সংগঠন সমূহের নেতৃবৃন্দ।
সিলেট চেম্বারের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সহ সভাপতি মো. আতিক হোসেন, পরিচালক মো. হিজকিল গুলজার, দেবাংশু দাস, সরোয়ার হোসেন ছেদু, সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন সাহা, সদস্য জয়দেব চক্রবর্তী, সচিব মো. গোলাম আক্তার ফারুক, এক্সিকিউটিভ অফিসার শাহ আলম রাফি, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাবেক পরিচালক রাজিব ভৌমিক, সাব্বির আহমদ চৌধুরী, সিলেট ওমেন চেম্বারের পরিচালক তাসমিন আক্তার, সদস্য শিউলি বেগম, নাসিমা বেগ এবং সাংবাদিকবৃন্দ।