সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেছেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশ্বনাগরিক হিসেবে প্রস্তুত করতে শিক্ষকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই একজন শিক্ষককে একুশ শতকের শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণের জন্য তাঁকেও একুশ শতকের শিক্ষার্থী হতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের দক্ষতাকে শক্তিশালী করার জন্য অনুশীলনের প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আপডেটেড শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষককে আপডেটেড হতে হবে সর্বাগ্রে। সময়ের চাহিদার সাথে মিল রেখে শিক্ষকের জ্ঞান ও দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ কাউন্সিল, সিলেটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলটা), সিলেট চ্যাপ্টার আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেলটা সিলেট চ্যাপ্টারের কো অর্ডিনেটর এবং সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব।
সকালে সেমিনারের উদ্বোধন করেন ব্রিটিশ কাউন্সিল সিলেটের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার জিওগ্রাফিজ কফিল হোসেন চৌধুরী। ‘ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচার্স ক্যারিয়ার পাথওয়েজ’ শীর্ষক এ সেমিনারে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ৬০ জন শিক্ষক অংশ নেন।
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পেপার উপস্থাপন করেন বেলটার কেন্দ্রীয় এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকার প্রভাষক এন কে দাস বিপুল, সিলেট সরকারী টির্চাস ট্রেনিং কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং বেলটা সিলেট চ্যাপ্টারের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য শ্রী বিধান চক্রবর্তী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বেলটা সিলেট চ্যাপ্টারের এসিস্ট্যান্ট কোঅর্ডিনেটর তাসনিয়া মিজান চৌধুরী।
এছাড়াও ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য উপস্থাপন করেন নেপালের কাঠমুন্ডু ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. লক্ষণ গেওয়ালী। সেমিনার সমন্বয় করেন বেলটা সিলেট চ্যাপ্টারের জেনারেল সেক্রেটারি সুলতান আহমদ, কোষাধ্যক্ষ প্রভাষক সুমন রায় এবং পাবলিকেশন সেক্রেটারি প্রভাষক আতিয়া আমাতুন নূর। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী সকলকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।