গ্রুপ পর্ব উতরানোর ম্যাচগুলো এখন অনেক হিসাব-নিকাশের হয়ে গেছে। যেখানে ‘ই’ গ্রুপ থেকে নকআউটের দৌড়ে এগিয়ে স্পেন। সম্ভাবনা আছে জাপান ও জার্মানির। জার্মানিকে হারিয়ে দ্বিতীয় ‘অঘটন’ ঘটাতে পারলে কোস্টারিকা চলে যাবে নকআউটে।
স্পেনকে ড্র করলেও চলবে। জাপান ড্র করলে এবং জার্মানি জিতলে গোল ব্যবধানের হিসাব চলে আসবে সামনে। সহজ সমীকরণ হলো জাপানের বিপক্ষে স্পেন জিতলে এবং কোস্টারিকার বিপক্ষে জার্মানি প্রত্যাশিত জয় পেলে দুই দলই শেষ ষোলো খেলবে।
প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে সাত গোলে বিধ্বস্ত করে এগিয়ে আছে স্প্যানিশরা। তবে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্পেন কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, তারা জাপানের বিপক্ষে ড্র করার জন্য খেলবেন না। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে এবং সব ঠিক থাকলে কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা আছেন। তাতেও ভীত নন এনরিকে।
ব্রাজিলকে কোয়ার্টারে এড়োনোর পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নে এনরিকে বলেছেন, ‘আপনারা কী ভাবছেন, ম্যাচে কী ঘটবে তা ধারণা করে নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হওয়ার জন্য খেলবো! ধরুণ, ম্যাচের ৯৫ মিনিট পর্যন্ত জাপানের সঙ্গে আমাদের গোলশূন্য সমতা। জার্মানি-কোস্টারিকাও গোলশূন্য। এরপর জাপান আমাদের গোল দিল। কোস্টারিকা লিড নিল। পূর্বানুমানের জন্য ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে আপনি বাদ হয়ে গেলেন। তখন?’
বিশ্বকাপের মহামঞ্চে জাপান-স্পেন এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে। তার আগে ২০০১ সালে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল দু’দল। জাপানকে ১-০ গোলে হারায় স্পেন। অচেনা প্রতিপক্ষকে চিনে, তাদের শক্তির দুর্বলতা মাথায় নিয়ে খেলতে হবে স্পেনের। স্পেনের তিকিতাকার জন্য জাপান লং শটে ও কাউন্টার অ্যাটাকে ধাক্কা দিতে চাইবে। স্পেন তাই সতর্ক হয়েই নামবে।