চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশাসহ চোর চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে উপজেলার পূর্ব জাফলংয়ের লাখের পাড় গ্রাম থেকে চুরি হওয়া সিএনজি (অটোরিকশা) উদ্ধার এবং চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- গোয়াইনঘাটের নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের আঙ্গারজুর পূর্ব পাড়া গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে স্বপন মিয়া (২৮), আঙ্গারজুর মাঝপাড়া গ্রামের মখলিছ মিয়ার ছেলে জুনেদ মিয়া (২২) ও সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার বাজার কান্দি গ্রামের হারাধন সূত্র ধরের ছেলে রিংকু সূত্রধর (২৫) এবং সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন সাহেব বাজার এলাকার হেলাল মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (২৩)।
সিএনজি মালিক নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামের জুনেদ আহমদ জানান, তার মালিকানাধীন সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশা রয়েছে। সিএনজিগুলো প্রতিদিনের মতো গত ২৭ অক্টোবর রাতেও তিনি তার বসতঘরের সামনে নিজস্ব গ্যারেজে রেখে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখতে পান গ্যারেজ থেকে তার ১টি সিএনজি চুরি হয়ে গেছে।
এরপর তিনি এবিষয়ে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জায়গায় তার সিএনজির খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু কোথাও কোন খোঁজ পাননি এমনকি আরও প্রতারণার শিকার হন। ঘটনার একমাস পর তিনি গত সোমবার (২৮ নভেম্বর) তার সিএনজি’র পূর্বের চালককে প্রধান আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
তার দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে. এম. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া সিএনজিসহ চোর চক্রের ৪ জন সদস্যকে আটক করেন।
ওসি কে. এম. নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২৭ অক্টোবর রাতে সালুটিকর এলাকা থেকে একটি সিএনজি চুরি হয়। এ বিষয়ে সিএনজির মালিক ঘটনার পরদিন প্রথমে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং এর প্রায় একমাস পর গত ২৮ নভেম্বর গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান অভিযুক্ত সিএনজি চালক জুনেদকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের বাদবাকী সদস্যদের আটক এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।