সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ১ম খন্ড (সিঙ্গারীপার) গ্রামে মঈন উদ্দিন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) রাতে গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বাউরভাগ ১ম খন্ড (সিঙ্গারীপার) গ্রামের শফিকুল হকের পুত্র মঈন উদ্দিন রাত ৯টার দিকে বিশ্বকাপ খেলা দেখা জন্য নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে তার বোন জামাই আবুল কালামের খাইবাড়ি বিজরবন্দ মাদ্রাসার সামনে দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামের সাধন দাসের বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে মঈন উদ্দিনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী শোর চিৎকার করেন। তখন আশপাশ থেকে লোকজন এসে দেখতে পান মঈন উদ্দিনকে মাথায় ও গাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কে বা কারা হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান কানাইঘাট সার্কেলের এএসপি আব্দুল করিম ও থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম। এসময় নিহত মঈন উদ্দিনের লাশ পুলিশ হেফাজতে নিয়ে এসে ময়না তদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
তবে কী কারণে দুই সন্তানের জনক মঈন উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক রহস্য উদ্ঘাটিত না হলেও নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলিম উদ্দিন, তার শ্বশুর, শ্যালক মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নিহত মঈন উদ্দিনের পিতা বৃদ্ধ শফিকুল হক কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘সপ্তাহ খানেক পূর্বে আলিম উদ্দিন তার ছেলে মঈন উদ্দিনকে প্রাণে মারার হুমকিও দিয়েছিল।’
এদিকে ঘটনার পর সোমবার রাতে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের মৃত সিদ্দেক আলীর পুত্র আলিম উদ্দিনকে আটক করে স্থানীয় জনতা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তবে স্থানীয় অনেকে বলেছেন, নারী ঘটিত ঘটনার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলামের কথা হলে তিনি বলেন, নারী ঘটিত ঘটনার জের ধরে মঈন উদ্দিনকে হত্যা করা হতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। সন্দেহ জনক হিসেবে আলিম উদ্দিন নামে এক যুবক আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।