নারী ক্ষমতায়নে সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ক্ষমতায়ন না হলে সমাজে নারীর অবস্থান বাড়তো না।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ওমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি সেমিনারে’ এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার সরকার নারী নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছে। ওই নীতির অধীনে, আমরা মূলধারার আর্থ-সামাজিক কার্যক্রমে নারীদের উন্নয়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং তাদের ক্ষমতায়নের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করার ব্যবস্থা নিয়েছি। রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, ব্যবসা, খেলাধুলা, সশস্ত্র বাহিনী ইত্যাদি খাতে তাদের বর্ধিত অংশগ্রহণ ও অবদান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।
আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতা উন্নত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শান্তিরক্ষা, শান্তি-নির্মাণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল।
সরকার প্রধান আরও বলেন, আমার সরকারই ১৯৯৬ সালে প্রথম মেয়াদে সশস্ত্র বাহিনীতে নারীদের নিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নারী শান্তিরক্ষীদের শীর্ষস্থানীয় অবদানকারী। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মোট ৭০৪ জন নারী শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমানে ৩৭৩ জন নারী সদস্য বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের মোট এক হাজার ৬২৪ জন নারী পুলিশ কর্মকর্তা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং বর্তমানে ১৫০ জন কর্মকর্তা কাজ করছেন। বাংলাদেশে নারীরা এখন সরকারি সচিব, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং অনেক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে নারীরা সমাজের সবচেয়ে দুর্বল অংশ দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা, অপুষ্টি, অশিক্ষা এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদার শিকার। যে কোনো সংঘর্ষ ও দুর্যোগের সময় তাদের দুর্দশা বেড়ে যায়।