স্পেনের সঙ্গে পিছিয়ে পড়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে জার্মানি। এ জয়ে টিকে রইলো জার্মানদের নকআউট পর্বে খেলার আশা। আছে নানা সমীকরণও।
ম্যাচটি ছিল জার্মানির জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। হারলেই শঙ্কা শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়ার। প্রথমে গোল খেয়ে সে আশঙ্কা চোখও রাঙাচ্ছিল। অবশেষে ম্যাচের শেষদিকে জার্মানদের বাঁচিয়ে দেন নিকোলাস ফুলক্রুগ।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলে স্পেন। ছিল পাসের ফুলঝুরি। কোস্টারিকাকে সাত গোলের বন্যায় ভাসানো স্পেন এদিন শুরুতেই গোল পেতে পারতো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দানি ওলমোর বুলেট গতির শট গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়ারের হাতে লেগে ক্রসবারে বাধা পায়।
১০ মিনিট পাল্টা আক্রমণ শানায় জার্মানিও। গোল করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন গোরেৎজকা। তবে অফসাইড ছিল।
২৫ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল জার্মানি। স্পেনের ভুল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে শট মেরেছিলেন নাব্রি। বল গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। নয়ারের ভুল ক্লিয়ারেন্স থেকে সুযোগ পেয়েছিল স্পেনও। কিন্তু কাজে লাগাতে পারলো না।
৪০ মিনিটে কিমিখের ফ্রিকিক থেকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেছিলেন রুডিগার। কিন্তু রেফারি জানিয়ে দিলেন, তিনি অফসাইড। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া জার্মানির। গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় উভয় দল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে হঠাৎ জার্মানির আক্রমণ। স্পেনের রক্ষণের ভুলে বক্সে উঠে এসেছিলেন জার্মানির ফুটবলাররা। কিমিখের শট বাঁচান উনাই সিমন।
অবশেষে ৬২ মিনিটে গেলের দেখা পায় স্পেন। জার্মানির রক্ষণের ভুলের সুযোগ নিয়ে গোল করেন আলভারো মোরাতা। বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন জর্ডি আলবা। তার ক্রস থেকে চলতি বলে পা ঠেকিয়ে গোল করলেন বদলি হিসাবে নামা আলভারো মোরাতা।
গোল শোধে শেষের দিকে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায় জার্মানি। তার ফলও মেলে হাতেনাতে। ৮৩ মিনিটে সমতা ফেরায় জার্মানি। একার কৃতিত্বে স্পেনের ডিফেন্সকে ঘোল খাইয়ে বক্সের ভিতরে ঢুকে পড়লেন মুসিয়ালা। তার থেকে বল পেয়ে গোল করেন ফুলক্রুগ।