কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ডেনমার্কের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ফ্রান্স। ডেনমার্কের পক্ষে গোলটি করেছেন আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসন।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও ৪-১ গোলে দুরন্ত জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। অপরদিকে, তিউনেশিয়ার বিরুদ্ধে ড্র দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ডেনমার্ক। দ্বিতীয় ম্যাচে ড্যানিশদের বিরুদ্ধে হট ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামে ফরাসি ব্রিগেড।
এদিন শক্তিতে অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করলেও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে সমানে সমানে টক্কর দেয় ডেনমার্ক। গোলমুখী শটে ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও বল পজিশনে এমবাপ্পেদের ছেড়ে কথা বলেননি এরিকসনরা।
ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে ফ্রান্স। গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে ডেম্বেলের বাড়ানো বলে র্যাবিয়ট হেড করলে ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল দুর্দান্ত ভঙিমায় সেটি রুখে দেন।
কিছুক্ষণ পর এমবাপ্পে ও থিও নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করে ড্যানিশ বক্সে ঢোকেন। থিওর ক্রস পান কোন্ডে। ডান পায়ে জোরালো শট মারেন তিনি। কিন্তু গোলের সামনে থাকা ডেনমার্কের ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল যায় স্মাইকেল কাছে।
৩৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডেনমার্ক গোল করার চেষ্টা করে কিন্তু ফ্রান্সের দুর্দান্ত ডিফেন্সের কাছে সেটি পরাস্ত হয়ে যায়।
৪১ মিনিটে গোলের অন্যতম সহজ সুযোগ পায় ফ্রান্স ও ডেম্বেলে। এমবাপ্পেকে লক্ষ্য করে দারুণ এক পাস দেনে ডেম্বেলে। কিন্তু এমবাপ্পের শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। গোলশূন্য ড্র নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
৪৮ মিনিটে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা ডেনমার্কের। বাঁ প্রান্ত ধরে উঠে বক্সে বল রাখেন এরিকসন। কিন্তু সেই বল কাজে লাগাতে পারেননি কোনও সতীর্থ।
৫০ মিনিটে বাম প্রান্ত ধরে বল নিয়ে ডেনমার্কের বক্সে ওঠেন এমবাপ্পে। তিনি বল বাড়ান ডেম্বেলেকে। ফিরতি বলে পা দেওয়ার আগেই সেই বল ধরে নেন স্মাইকেল।
৬০ মিনিটে ডেনমার্কের রক্ষণ ভাঙে ফ্রান্স। বাঁ দিকে থেকে এমবাপ্পেকে পাস দেন হার্নান্দেজ। পাল্টা তাকে পাস বাড়ান এমবাপ্পে। গোল লাইন থেকে বক্সে বল রাখেন হার্নান্দেজ। চলতি বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন এমবাপ্পে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ডেনমার্ক। কর্নার থেকে সতীর্থের ব্যাক হেড থেকে হেডে গোল করে ক্রিস্টেনসন। তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না হুগো লরিসের।
এর পাঁচ মিনিট পর এগিয়ে যেতে পারতো ডেনমার্ক। বক্সের মধ্যে ভাল জায়গায় বল পান ড্যামসগার্ড। তার ডান পায়ের শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে বার করে দেন লরিস।
ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় ফ্রান্স। এবারও ফরাসিদের ত্রাতা এমবাপ্পে। বক্সের বাইরে থেকে বল তোলেন গ্রিজম্যান। ডান পায়ের টোকায় গোল করেন পিএসজি তারকা এমবাপ্পে।