দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে আসামের উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক এবং আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সভাপতি কমলাখ্য দে পুরকায়স্থর সাথে সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সিলেট চেম্বারের কনফারেন্স হলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমলাখ্য দে পুরকায়স্থ বলেন, ‘সিলেটের সাথে আমাদের নাড়ির সম্পর্ক। আসামের ৩০ শতাংশ মানুষের আত্মীয়-স্বজন সিলেটে রয়েছেন। আমরা সিলেটের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।’
তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানির পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য ভারতে আমদানিও করা হয়। তবে আমদানির বিষয়টি চাহিদার উপর নির্ভরশীল। চাহিদা বাড়লে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিও বাড়বে। তিনি করিমগঞ্জ ও সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে রাজ্যসভায় প্রয়োজনীয় প্রস্তাবনা রাখবেন বলে জানান।
এসময় তিনি আসামের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সিলেটের ব্যবসায়ীদের ইতিবাচক মনোভাবেরও প্রশংসা করেন।
সিলেট চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, ‘আসাম এবং সিলেটের মধ্যে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সাদৃশ্য আমাদেরকে একই সুতোয় গেঁথে রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটের শেওলা ও জকিগঞ্জ এলসি স্টেশন দিয়ে বিপুল পরিমাণ পণ্য সামগ্রী আসাম থেকে বাংলাদেশে আমদানী হয়ে থাকে। তবে আমদানীর তুলনায় সিলেট থেকে রপ্তানী তুলনামূলক কম। শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে এ অসমতা আমাদেরকে দূর করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ডলার সংকটের কারণে সিলেট থেকে কোন এলসি ইস্যূ না হওয়ায় আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে, কিন্তু আমরা আশাবাদী অচিরেই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আমরা সক্ষম হবো।’
সভায় বক্তাগণ আমদানি-রপ্তানি খাতে বিরাজমান বিভিন্ন সমস্যাবলী তুলে ধরেন এবং তা নিরসনে আসামের বিধায়কের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন আসামের প্রতিনিধিদলের সদস্য কিশোর দাস, বজলুল হক চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি মো. আতিক হোসেন, পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য মো. আবুল কালাম, আব্দুল হাদি পাবেল, মো. জহির হোসেন, প্রদীপ কুমার দেব, কাজল আহমদ চৌধুরী, মো. আবুল কালাম, মো. সাহাব উদ্দিন, জয়দেব চক্রবর্তী, মনোরঞ্জন চক্রবর্তী সবুজ, দেওয়ান খালেদ বিন রশিদ, মো. আলতাফ হোসেন, মো. সোহেল এবং আমদানি-রপ্তানিকারকবৃন্দ।