চলছে ক্ষণগণনা। বিশ্বকাপ ফুটবল সামনে রেখে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মুসলিম অধ্যুষিত দেশ কাতার। মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশ হিসেবে পরিচিত তেলসমৃদ্ধ দেশটি।
যে কারণে কাতারের সংস্কৃতি ও ইসলাম ধর্মীয় অনেক রীতি মানতে হবে বিশ্বকাপের দর্শকদের। বিশ্বকাপের অনেক অঘোষিত রেওয়াজই পালন করা যাবে না সেখানে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে— নারীদের খোলামেলা পোশাক।
ইসলাম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী, কাতারে নারীরা খোলামেলা পোশাক পরেন না। হিজাব পরিধানে কঠোরতা আছে দেশটিতে। অন্তত ইউরোপ-আমেরিকার মতো যে কোনো পোশাকে প্রকাশ্যে বের হতে পারেন না নারীরা কাতারে। তাদের সবসময় শরীর ঢেকে রাখতে হয়।
কাতার কর্তৃপক্ষের হুশিয়ারি— বিশ্বকাপ দেখতে আসা দর্শক, পর্যটকদের বিষয়টি মেনে চলতে হবে। কোনো নারী দর্শক খোলামেলা পোশাক পরলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ আইন অমান্য করলে জেলেও পর্যন্ত যেতে হতে পারে।
তবে কি মুসলিম নারীদের মতো হিজাব, বোরকা পরতে হবে? কাতার বলছে— তেমনটি নয়; নারীরা নিজেদের পছন্দের যে কোনো ধরনের পোশাকই পরতে পারেন। তাতে বাধা নেই। তবে পোশাক যেন খোলামেলা না হয়।
শুধু স্টেডিয়াম নয়, মিউজ়িয়াম ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরে গেলেও শরীর ঢেকে থাকে, এমন পোশাক পরতে হবে তাদের।
কাতার কর্তৃপক্ষের এ দাবিকে সম্মান জানিয়েছে ফুটবলের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফ। সংস্থাটির অনুরোধ, দর্শকরা চাইলে যে কোনো পোশাক পরতে পারেন। কিন্তু আয়োজক দেশের আইনের কথা মাথায় রেখে যাতে তারা পোশাক পরেন।