সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, আগামী ১৯ নভেম্বরের গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সিলেট বিভাগজুড়ে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে সিলেটের সাধারণ মানুষ বিএনপির গণসমাবেশে যোগদান কারার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন অপকৌশল করছে। সকল বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে সমাবেশ স্থলের দিকে জনগণের এগিয়ে আসাকে সরকার কোনমতেই সহ্য করতে পারছে না। কোন অপশক্তিই আগামী ১৯ নভেম্বরের গণসমাজকে ঠেকাতে পারবে না। সিলেটের গণসমাবেশ জনতার ঢল নামবে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দিনভর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা শেষে চন্ডিপুল এলাকায় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আগামী ১৯ নভেম্বর সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে গণসংযোগ, লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কোহিনুর আহমদের সঞ্চালনায় পথসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষের এখন ‘নুন আনতে পানতা ফুরায়’ অবস্থায় রয়েছে। প্রায় দেড় দশক ধরে বর্তমান রক্তপায়ী ফ্যাসিস্ট সরকার বেপরোয়া লুটপাট, সীমাহীন দুর্নীতি ও অসহনীয় দুঃশাসনের যাঁতাকলে পিস্ট হচ্ছে সারাজাতি। দ্রব্যমূল্য আজ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। দেশকে বাঁচাতে, মানুষকে বাঁচতে আাগমী ১৯ নভেম্বর দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণসমাবেশে যোগদান করতে হবে।
এসময় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা তাজরুল ইসলাম তাজুল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ, বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, লোকমান আহমদ, আসাদ উদ্দিন, আজিজুল হোসেন আজিজ, দেওয়ান জাকির হোসেন খান, জালাল খান, দুলু মিয়া, ফয়জুর রহমান পীর, বক্তিয়ার আহমদ ইমরান, মাহমদ আলী, সোহেল ইবনে রাজা, হাজী পাবেল আহমদ, রায়হানু হক, শামসুর রহমান সুজা, মুক্তার আহমদ, সাদেক আহমদ, নাহিদ আহমদ, রিপল আহমদ, জাহেদ আহমদ, আব্দুল মজিদ, নাসিম আহমদ, আফসার আহমদ, আল-আমিন প্রমুখ।