সিলেটের জকিগঞ্জের বৃহৎ সরকারি মইলাট জলমহাল জবরদখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ এখন মুখোমুখি অবস্থানে।
জানা গেছে, একটি মহল মামলা-হামলাসহ বিভিন্ন অজুহাতে ৩০ বছর থেকে সরকারি জলমহালটি জবরদখল করে লুটপাট করে আসছিল। সিলেটের বিদায়ী জেলা প্রশাসক বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সরকারি জলমহালটি ১৪২৭ থেকে ১৪২৯ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য জকিগঞ্জের সিরাজপুর সুর্যমূখী সমবায় সমিতির লিমিটেডের অনুকুলে ইজারা প্রদান করে প্রশাসনিকভাবে জেলার পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে গত দুই বছর অনেক মামলা-মোকদ্দমা ও দখল-পাল্টা দখল মোকাবেলা করে জলমহালের ইজারাদারকে মাছচাষ ও আহরণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে সরকারের দখলে জলমহালটি রাখেন।
শেষ বছর ১৪২৯ বঙ্গাব্দে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল হক ও পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জকিগঞ্জ থানার ওসি বদলি হয়ে গেলে মহলটি সম্প্রতি আবারও তৎপর হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন অজুহাতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জকিগঞ্জ আদালত ও থানায় কাল্পনিক মামলা দিয়ে ইজারাদারকে হয়রানি করে জলমহালটি জবর দখলে নিয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই ইাজারাদারদের পাহারাদারদের অস্ত্রের মুখে তাড়িয়ে দিয়ে জলমহালের তীরে বাসা তৈরি করে দখল নিয়েছে।
ইজারাদার সিরাজপুর সুর্যমূখী মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সম্পাদক রনজিত রাম দাস এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে বুধবার সকাল ১১টায় তার কার্যালয়ে গণশুনানির নোটিশ দিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা মনে করেন, আর যাতে সরকারি এ জলমহালটির টেন্ডারে কেউ অংশগ্রহণ না করে এজন্যই ওই মহল উঠে পড়ে লেগেছে। এবার সরকারি এ জলমহালটি সরকারের বেদখল হলে উদ্ধার করা কঠিন হবে। তাই জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত জরুরি প্রশাসনিক উদ্যোগ একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।