‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে। তাই বিশ্ববাজারে জিনিসপত্রের দাম কমলেও আমাদের বাজারে সে রকম প্রভাব পড়ছে না। গ্যাস সংকট অনেকটা কমে আসছে। ফলে এর প্রভাব পড়বে উৎপাদনের ওপর। তাই কিছুদিনের মধ্যেই চিনিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমে আসবে। এখন চিনির চাহিদার মাত্র ৬৬ ভাগ উৎপাদন করা যাচ্ছে, ঘাটতি থাকছে ৩৩ ভাগ।’
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভায় এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় চাল, চিনি, পেঁয়াজ, গম, আটা, ময়দা, সয়াবিন তেলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় চিনির চাহিদা উৎপাদন ও আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া দেশের উন্নয়ন যেন বাধা না পায়, সে জন্য সিমেন্টের উৎপাদন অব্যাহত রাখা এবং বাড়তি উৎপাদন করে বিদেশে রফতানি করার বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাসের জন্য চিনি উৎপাদন কম হয়েছিল, এ জন্য চিনির দাম বাড়াতে হয়েছ। কিন্তু আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা কিছুটা সমাধান হবে। এতে চিনির দাম কমে যাবে।’
‘এখন ইউক্রেন থেকে গম আমদানি করার অনুমতি পাওয়া গেলেও জাহাজ ভাড়া না পাওয়ায় গম আনা যাচ্ছে না, যার প্রভাব পড়ছে গমের বাজারে। তবে রাশিয়া থেকে গম আসা শুরু হলে সংকট কেটে যাবে,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে তেলের দাম আবার সমন্বয় করা হবে। তবে সবকিছু মিলে মানুষকে এত চিন্তা করার কারণ নেই, দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে।’