ওসমানীনগরে ঘোড়া-নৌকায় দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস

আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষে প্রতীক্ষার ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ বুধবার। আরও সহজে বললে- রাত পোহালেই ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

প্রার্থীদের মিছিল-শোডাউন কিংবা সমাবেশ থেমেছে সোমবার। তারপর মঙ্গলবার ছিল নিরব প্রচারণা। সাথে ছিল নির্বাচনের নানা হিসেবনিকেশ। জয় পরাজয় নিয়ে আলোচনা আর সমীক্ষা। যেখানে দ্বিমুখী লড়াইয়ের আভাস মিলেছে সকল সমীকরণ মিলিয়ে।

জানা যায়, ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সিলেট জেলা যুবলীগের সভাপতি শামিম আহমদ (ভিপি) দলীয় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এছাড়া খেলাফত মজলিসের জেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক ছইদুর রহমান চৌধুরী দলীয় প্রতীক (দেয়াল ঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র হিসেবে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম পেয়েছেন (ঘোড়া) প্রতিক।

এদিকে, নির্বাচনে অন্যান্য বারের মতো এবার ভোটারের মধ্যে তেমন আমেজ নেই। তবে নৌকা প্রতিকের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা দেখা গেছে। সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর দুই বলয় ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে কাজ করছেন দলীয় প্রার্থীর জন্য। এমনকি দলমত নির্বশেষে নৌকার পক্ষে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। ফলে জয়ের সম্ভাবনায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামিম আহমদ (ভিপি)।

নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শামীম আহমদ ভিপি বলেন, ‘নান্দনিক উপজেলা গড়ে তুলতে আপনারা নৌকা প্রতিকে ভোট দিন। আমি আপনাদের উন্নয়ন উপহার দিব। ইনশাআল্লাহ।’

তবে ভোটের মাঠে শেষপর্যন্ত শামিম আহমদের পথের কাটা হতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম। প্রচারণা শুরুর পর থেকেই কামরুল ইসলাম চষে বেড়িয়েছেন ভোটারের দোয়ারে দোয়ারে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি তাঁর পক্ষে কাজ না করলেও নিরবে কাজ করছে দলটি। ফলে ভোটের হিসেবে ছেড়ে কথা বলবেন না বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম।

ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সুষ্ঠু ভোট হলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। ইনশাআল্লাহ।’

থেমে নেই খেলাফত মজলিস মনোনীত প্রার্থী ছইদুর রহমান। তিনি ঘড়ি প্রতিকের জন্য ভোট ভিক্ষা চাচ্ছেন। তাঁর পক্ষ হয়ে কওমী ঘরানার মাদরাসাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সব মিলিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তুলছে নির্বাচনী হিসেবনিকেশ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া (টিয়া পাখি), উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলদার আলী (তালা) প্রতীক, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান গয়াছ মিয়া (চশমা) প্রতিক, জুয়েল মিয়া (টিউবওয়েল) প্রতীক, দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখতার আহমদ (বই) প্রতীক, মৌলানা আব্দুল বাছিত (মাইক) প্রতীক, খন্দকার মাসুম আহমদ পেয়েছেন (বৈদ্যুতিক পাখা) প্রতীক ও আলী হোসেন রানা (উড়োজাহাজ) প্রতিক।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুছলিমা আক্তার চৌধুরী পেয়েছেন (সেলাই মেশিন) প্রতীক, জানারা বেগম (কলস) ও ছানারা বেগম (ফুটবল) প্রতীক।