পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। এদের পরিপক্কতা দরকার।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রদূতদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার বিসিএস (এফএ) অ্যাম্বাসেডর্স (এওফা) এর সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের দোষারোপ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে সাংবাদিকতা যারা করেন তাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে। এদের পরিপক্কতা দরকার। যে সাংবাদিকরা এটা করেছে এটা তাদের জন্য লজ্জার বিষয়। আর আপনাদের (গোপালগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিক) জন্য দুঃখের বিষয় যে আপনাদের সহকর্মীরা এই ধরনের বানোয়াট জিনিস প্রকাশ করেছেন। আমি অনেক সাংবাদিকদের বলেছি আপনাদের এই নিয়ে গবেষণা করা উচিত। কেনো এতো নিন্মমানের এই সাংবাদিকতা। এইটা আপনাদের জন্য দুঃখের বিষয়।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গত ২৬ তারিখ প্রেসক্লাবে কলামিস্টদের একটি অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য দেই। ৭০টি গণমাধ্যম তা নিয়ে যে হেড লাইন করেছে তার সাথে আমার বক্তব্যের কোনো ধরনের সম্পর্ক নাই। সেখানে আমি না কি আমেরিকাকে যুদ্ধবাজ বলেছি। ৭০টি গণমাধ্যমই মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক তথ্য দিয়েছে।
রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার জন্য ভারতের পরামর্শ চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী বলেন, যে জিনিসগুলোর ধারে কাছে বলি নাই সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করেছেন। তারা কোনো উদ্দেশ্যের কারণে মিথ্যা প্রচারণা করছেন। তাতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করবে আমরা বোধ হয় তাদের শত্রু। এমনভাবে প্রচারণা করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে শত্রু বানানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে। খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাম্প্রতিক সময়ে এর আগে তার কয়েকটি বক্তব্যের জন্য সমালোচনায় পড়েছিলেন।
ভারত সফরে গিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখার সুপারিশ করেছিলেন বলে চট্টগ্রামে তার দেওয়া বক্তব্য ঘিরে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়।
এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশে ‘আমরা সুখে আছি, বেহেস্তে আছি’ মন্তব্যও সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিয়েছিল।
এ নিয়ে নিজের দলের মধ্যেও সমালোচনার পর মোমেন বলেছিলেন, আগামীতে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবধান হবেন তিনি।