সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগকে রুখে দেওয়ার জন্য অপপ্রচার চালানো হয়। সেগুলো প্রতিহত করতে হবে। আওয়ামী লীগ সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ।’
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মির্জাজাঙ্গালস্থ হোটেল নির্ভানা ইন এর হলরুমে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে দায়িত্ব দেওয়ার পরে মহানগর আওয়ামী লীগ খুব সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যারাই ওয়ার্ড সম্মেলনকে ঘিরে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করবে এবং সংগঠনে থেকে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হবে আগামীতে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনোভাবেই তাদেরকে বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং আগামী সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হতে সবাইকে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও বেশি জোরদার করতে হবে। ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। কমিটি গঠনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে দলে ঢুকে বিতর্কিত কর্মকান্ড জড়িয়ে দলকে প্রশ্নের সম্মুখীন না করে তুলে। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করার মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা ও শেখ হাসিনা’র টেকসই উন্নয়নের বাংলাদেশ গড়তে হবে।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভায় সাংগঠনিক ও বিবিধ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়।
সভায় সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। ওয়ার্ড সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্মানিত সভাপতির সাথে আলোচনা করেই সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে বিভ্রান্তির সুযোগ নেই। যারাই সংগঠনকে ঘিরে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সভায় প্রয়াত আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্টজনের জন্য শোক প্রস্তাব আনা হয়। আনীত শোক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা, সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক প্রদীপ পুরকায়স্থ, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রীতিশ চন্দ্র দাশের জন্য দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। উক্ত সভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক উপকমিটির নেতৃবৃন্দ ওয়ার্ড সম্মেলনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তাছাড়া ৩রা নভেম্বর জাতীয় জেল হত্যা দিবসে মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মফুর আলী, আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মো. সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, বিধান কুমার সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান , যুব ও ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হোসেন রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডা. আরমান আহমদ শিপলু, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, এডভোকেট কিশোর কুমার কর, মো. আব্দুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, আজম খান (মজুমদারী), মো. শাজাহান, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমদ, রোকসানা পারভীন, জাফর আহমদ চৌধুরী, তৌফিক বক্স লিপন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, এডভোকেট তারাননুম চৌধুরী, জুমাদিন আহমেদ, রকিবুল ইসলাম ঝলক, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল প্রমুখ।