ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে হবিগঞ্জ জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। স্থবিরতা নেমেছে হাওরাঞ্চলের জনপদগুলোর মানুষের জীবনযাত্রায়। তবে এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হবিগঞ্জের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) ভোর থেকেই জেলাজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি চলছিল। কখনও কখনও ভারী বৃষ্টিও হয়েছে। দমকা বাতাস রয়েছে অব্যাহত।
বানিয়াচং উপজেলার বড় গুইল হাওরে মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়নি। মাঝেমধ্যে দুয়েকজন হাওরে এলেও তারা বেশি সময় সেখানে অবস্থান করেননি। একই অবস্থার খবর পাওয়া গেছে জেলার আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, লাখাই ও বাহুবল উপজেলার হাওরাঞ্চলেও। এজন্য মাঠে চাষাবাদের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামের কৃষক ওয়ারিশ মিয়া বলেন, ‘রোপা আমনের জমিতে মাজারা পোকা আক্রমণ করেছে, কীটনাশক ছিটানোর কথা ছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সেই সম্ভব হচ্ছে না। কারণ কীটনাশক ছিটালে তা পানির সঙ্গে ভেসে যাবে’। একই কথা জানিয়েছেন গ্রামটির বাসিন্দা আরও কয়েকজন।
বানিয়াচং উপজেলার কৃষক তৌফিক মিয়া জানান, বেড়িকোণা হাওরে তার কিছু জমি থেকে পানি নেমেছে। সেগুলোতে হালচাষ করার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে তিনি হাওরে যেতে পারেননি।
শুটকি নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায়, নদীতে চলাচলরত নৌকাগুলো পাড়ে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
মাঝি উম্মেদ আলী জানান, তারা নৌকা দিয়ে বালু বহন করেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাঁর নৌকাটি দুইদিন নোঙর করা ছিল। এজন্য নৌকায় থাকা সাতজনের এদিন এক টাকাও রোজগার হয়নি।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন জানিয়েছেন, অব্যাহতভাবে ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এখানকার কোনো নদীতে পানি বাড়েনি।