কানাইঘাটে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের গণঅনশন

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ সরকারি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় কানাইঘাটে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সকাল-সন্ধ্যা গণঅনশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কানাইঘাট কেন্দ্রীয় শহিদমিনার প্রাঙ্গণে এ গণঅনশন কর্মসূচি পালন করা হয়।

গণঅনশন থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান এক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবী সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, দেবত্তোর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন ৭ দফা দাবী দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান।

গণঅনশন থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার তাদের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এসব ন্যায্য দাবী-দাওয়া বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করলেও সরকারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘুদের জন্য অনেককিছু করা হলেও মৌলিক এ দাবীগুলো এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। যার কারণে দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। আগামী নির্বাচনের আগেই এসব যৌক্তিক দাবী মেনে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এবং সেই সাথে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চিরতরে বন্ধসহ সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিতের দাবী জানান।

এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জেমস্ লিও ফারগুশন নানকা, সাবেক সভাপতি দুর্গা কুমার দাস, বর্তমান সহ সভাপতি সলিল চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক রিংকু চক্রবর্তী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা জগদীশ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সুদিপ্ত চক্রবর্তী, বর্তমান সভাপতি ভজন লাল দাস, সাধারণ সম্পাদক অলক চক্রবর্তী, পৌর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শ্যামল কুমার দাস, ঐক্যপরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিপ্লব কান্তি দাস অপু, সুবোধ চন্দ্র দাস, প্রতাব চন্দ্র দাস, মুকুল দাস সিতেন, চমক রঞ্জন দে, লিটন চন্দ্র দাস, মুন্না চক্রবর্তী।

গণ অনশনেউপস্থিত ছিলেন, ভি.পি শিং, গৌরাঙ্গ শর্মা, বাবুল চন্দ্র দাস, নিলুৎপল দাস, গবিন্দ মালাকার, দিলিপ কৈইরি, বাবুল কুমার দাস, কাজল চক্রবর্তী, বাবুল রায় প্রমুখ।