আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও প্রথম ৯টি স্টেশন দিয়েই যাত্রা শুরু করবে দেশের প্রথম মেট্রোরেল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নেয়া হচ্ছে সব রকম প্রস্তুতি।
ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রথম তিনটি স্টেশনের কাজ। বাকিগুলোতে চলছে ভেতরের কাজ। কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও স্টেশনের বাইরের অবকাঠামোর কাজ শেষ হবে এ মাসেই।
প্রথম তিনটি স্টেশনে ওঠানামার জায়গা, ফুটপাত থেকে শুরু করে ভেতরের সাজসজ্জা সবকিছুর কাজ শেষ। বসেছে টিকিট কাউন্টার, পাশেই থাকছে বুথ। প্রতিটি স্টেশনে তিনটি করে ছয়টি বুথ থেকে নেয়া যাবে টিকিট। র্যাপিড পাসের পাশাপাশি যাত্রীরা নিজেরাই রিচার্জ করতে পারবে এখান থেকেই।
যাত্রা শুরুর আগে নিয়ম করে চলছে ট্রায়াল রান। প্রতিটি স্টেশনে গতি, সময় মেনে ঝালিয়ে নেয়া হচ্ছে প্রতিটি ট্রেনের পারফর্মেন্স।
লক্ষ্যটা যেহেতু ডিসেম্বর তাই শেষের তিন স্টেশনের পিছিয়ে পড়া কাজ এগিয়ে নিতে চলছে বাড়তি তোড়জোর। স্টেশন প্লাজার কাজের পাশপাশি চলছে ওঠানামার সিঁড়ির কাজ। অক্টোবরের মধ্যেই এ পাশের ফুটপাতসহ অবকাঠামোর সব কাজ শেষ করতে চায় ডিএমটিসিএল।
এমআরটি লাইন-৬ এর ডিপিএম মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাদের কাজ অনেকটাই শেষ। কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে ভেতরের কাজের পাশাপাশি বাইরের ফুটপাতের কাজও চলছে। আশা করছি নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো।
ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলে ভ্রমণে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। আর উত্তরা থেকে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য খরচ হবে ১০০ টাকা। প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ টাকা।
মেট্রোরেলের স্টেশনে লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যাবে। তিনতলা স্টেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় কনকোর্স হল। এখানে টিকিট কাটার ব্যবস্থা, অফিস ও নানা যন্ত্রপাতি থাকবে। তিনতলায় রেললাইন ও প্ল্যাটফর্ম। শুধু টিকিটধারী ব্যক্তিরাই ওই তলায় যেতে পারবেন। দুর্ঘটনা এড়াতে রেললাইনের পাশে বেড়া থাকবে। স্টেশনে ট্রেন থামার পর বেড়া ও ট্রেনের দরজা একসঙ্গে খুলে যাবে। আবার নির্দিষ্ট সময় পর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হবে।