বিএনপির নেতাকর্মীরা ভয় পায় না : খন্দকার মুক্তাদির

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, স্বৈরাচারের গুলির আঘাতে হয়তো আমাদের শোকের মিছিল আরও দীর্ঘ হতে পারে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা ভয় পায় না। আপনারা গুলি করেন আর ভাবছেন যে আমরা ভয় পেয়ে গেছি। ভয়ের দিন চলে গেছে। আর কোনো ধরনের হুমকি, গুলি করে জনগণকে ভয়ের রাজত্বের মধ্যে রাখতে পারবেন না। ভয়ের রাজত্ব শেষ হয়ে গেছে। আপনারা মনে করেছেন আমরা নিশ্চুপ থাকবো? আপনারা (আওয়ামী লীগ) হুমকি দেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বাধা দেন, হামলা করেন, গ্রেপ্তার করেন, গুলি করে হত্যা করেন। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমাদের নিরন্তর সংগ্রাম চলবে। আর কতদিন নিশ্চুপ থাকবো? এবার পাল্টা আক্রমণের সময় এসে গেছে। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে তারা প্রত্যাঘাত করবে সেই সময় এসে গেছে। তারা এখন প্রতিটি অন্যায়-অবিচারের প্রত্যাঘাত করবে, এ ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে শপথ নিয়ে নামবে। জনগণ মাঠে নামলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকির সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছে। মানুষের সকল অধিকার খাঁচার মধ্যে বন্দি করে রেখেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের দিন শেষ হয়ে গেছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এখনও গৃহে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসনে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে। এখন গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি বলেন, বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী এখন উজ্জীবিত। স্বৈরাচারের পতন ঘটাতে যার যার এলাকায় সবাই মাঠে আছে। এবার আর পাতানো নির্বাচন হবে না। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এসময় সিলেট মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বদরুজ্জামান সেলিম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, হাবিবুর রহমান হাবিব, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সৈয়দ মিসবাহ্ উদ্দিন, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, সদস্য আমির হোসেন, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, শামীম মজুমদার ও সৈয়দ সাফেক মাহবুব।

সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, শামীম আহমদ, মো. শাহাবুদ্দিন, আবুল কাশেম, এ কে এম তারেক কালাম, কামরুল হাসান শাহীন, কোহিনূর আহমদ, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, শাকিল মুর্শেদ, আফছর খান, মিফতাউল কবির মিফতা, আব্দুস সামাদ, অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অ্যাডভোকেট সাইদ আহমেদ, আব্দুর রহমান, মাহবুব আলম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আব্দুল আহাদ শামীম, লোকমান আহমদ, মনিরুল ইসলাম তুরন, বাদশা আহমদ, জাহেদ আহমদ, আকবর আলী, আল মামুন, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, শামছুর রহমান শামীম, আলতাফ হোসেন সুমন, দেলওয়ার হোসেন দিনার ও পলিনা রহমান।

সিলেট মহানগরের ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তারেক আহমদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল খায়ের, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল ওয়দুদ মিলন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুস সবুর, ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম সায়েম, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ পাঠান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল খান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিনুল হক, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল হক রাজু প্রমুখ।