১৭৭ রানের লক্ষ্যে শুরুতে পরাজয়ের শঙ্কায় ছিল আয়ারল্যান্ড। ৬১ রানে পড়ে ৪ উইকেট। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে এক ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেটে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে মাঠ ছেড়েছে আইরিশরা। যা আবার টি-টোয়েন্টিতে আইরিশদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার নজির।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম পর্বের ‘বি’ গ্রুপের এই জয়ে আইরিশদের সুপার টুয়েলভে যাওয়ার সম্ভাবনা এখনও টিকে থাকলো। পাশাপাশি গ্রুপ ‘বি’ এর খেলাও জমে উঠলো পুরোপুরি। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দিলে শুক্রবার গ্রুপের দুটি ম্যাচই নকআউটে পরিণত হবে।
হোবার্টে শুরুর ধাক্কার পর কার্টিস ক্যাম্ফার ও জর্জ ডকরেলের ১১৯ রানের পার্টনারশিপই স্কটিশদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। ৯.৩ ওভারে ৬১ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর এই জুটি ৯.৩ ওভারে ১১৯ রান তুলেছে। শেষ ৫ ওভারে আইরিশদের রান তোলার গতিও ছিল অবিশ্বাস্য; প্রতি ওভারে ১৪.২!
দারুণ বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে অপরাজিত থেকেছেন ক্যাম্ফার। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ২টি ছয়। ম্যাচসেরাও তিনি। সঙ্গী ডকরেল ২৭ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১ ছয়ের মার।
অথচ বাজে শুরুর পর শেষটা এমন অবিশ্বাস্য হবে তা কে ভাবতে পেরেছিল! ২২ রানে অ্যান্ডি বালবার্নির (১৪) উইকেট নেন হুইল। একবার জীবন পাওয়া পল স্টার্লিংও (৮) ফিরে যান তার পর। লরকান টাকার ও হ্যারি টেক্টর কিছুক্ষণ ইনিংস সামাল দিলেও ৯ ও ১০ ওভারে দুজনকে বিদায় দিয়ে জয়ের সম্ভানা জাগিয়ে তুলেছিলেন বামহাতি স্পিনার মার্ক ওয়াট ও অফস্পিনার মাইকেল লিস্ক। তার পর তো ক্যাম্ফার-ডকরেলের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে ম্যাচের গতিপথ বলে যাওয়া।
একটি করে উইকেট নেন মার্ক ওয়াট, মাইকেল লিস্ক, সাফইয়ান শারিফ ও ব্র্যাড হুইল।
শুরুতে টস জিতে স্কটল্যান্ডের ব্যাটিং করতে নামা মোটেও অবিশ্বাস্য ছিল না। প্রথম ৬ ম্যাচের ৪টি জিতেছে প্রথম ব্যাট করা দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪২ রানে হারানোর ফর্মূলা এই ম্যাচেও তারা ব্যবহার করতে চেয়েছিল। এই ম্যাচ জিতলে সুপার টুয়েলভে যাওয়ার পথেও ফেভারিট থাকতো তারা। তাই ৫ উইকেটে ১৭৬ রানের সংগ্রহও দাঁড় করায় প্রথমে।
জর্জ মানসি দ্বিতীয় ওভারে ১ রানে ফিরলে ব্যাট হাতে মূল অবদান ছিল আরেক ওপেনার মাইকেল জোন্সের। ৫৫ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। তাছাড়া ম্যাথু ক্রস ২১ বলে ২৮ ও অধিনায়ক রিচি বেরিংটন ২৭ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন। মাইকেল লিস্কও ১৩ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থেকে অবদান রাখেন রান তোলায়।
আইরিশদের হয়ে ৯ রানে দুটি উইকেট নেন কার্টিস ক্যাম্ফার। একটি করে উইকেট নেন জশ লিটল ও মার্ক অ্যাডায়ার।