জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন করেছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহাট্টাস্থ অস্থায়ী ক্যাম্পাসের কনফারেন্স রুমে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘শৈশব কাল থেকে প্রাণবন্ত দুরন্ত, দুঃসাহসী ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র রাসেল। ছিল অতি আদরের, ভালোবাসার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হত্যা করা হয় শিশু রাসেলকেও। ১১ বছর বয়সেই নিভে যায় শেখ রাসেলের জীবনপ্রদীপ। তখন তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, হৃদয়বিদারক। এমন ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে খুব কমই ঘটেছে। শিশু রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনিরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘রাসেল আজ বেঁচে থাকলে পিতার মতো যোগ্য এবং আদর্শ নেতা হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত হতো। এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। ঘাতকের বুলেট শেখ রাসেলকে স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়নি। তবে ঘাতকেরা তার স্বপ্নকে হারাতে পারেনি। এ সময়ের লাখো শিশুর মাঝে আরও উজ্জ্বল হয়ে টিকে আছে শেখ রাসেলের স্বপ্নের বাংলাদেশ।’ তিনি বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরণের ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষরোপণ করা হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম ফজলুর রহমান, উপ পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ফাহিমা খানম চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) গোলাম সারোয়ার, সহকারী কলেজ পরিদর্শক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার অঞ্জন দেবনাথ, সহকারী পরিচালক (বাজেট) শমশের রাসেলসহ অন্যান্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।