৫৭ জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

সারা দেশে জেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অন্তত তিনটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ভোটে কারচুপি কিংবা হট্টগোল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিসিটিভি ও ইভিএম মেশিন যথাযথভাবে সচল রাখার স্বার্থে এবং ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেজন্য ভোটকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট উপজেলা সদরে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

আলোচিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের পাঁচ দিনের মাথায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী ৬১ জেলায় ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও হবে ৫৭টিতে। তিনটি পদেই একক প্রার্থী থাকায় ভোট হচ্ছে না ফেনী ও ভোলা জেলায়। আর আদালতের নির্দেশে বন্ধ আছে নোয়াখালী ও চাপাইনবাবগঞ্জের ভোট।

এবারের জেলা পরিষদের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে চেয়ারম্যান ২৬ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৮ আর সাধারণ সদস্য পদে ৬৫ জন। বাকি পদগুলোর জন্য চেয়ারম্যান পদে লড়বেন ৯২ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৬০৩ আর সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন।

সম্প্রতি গাইবান্ধার উপনির্বাচনও সিসিটিভির মাধ্যমে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসেই মনিটর করে নির্বাচন কমিশন। ভোটে অনিয়ম হওয়ায় সেই নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হয়। নির্বাচন ভবনে গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সব কেন্দ্র ও কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। একইভাবে (গাইবান্ধা-৫-এর মতো) মনিটর করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ বন্ধ করে আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে একই চিত্র দেখতে পেলে কী করবেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আগাম কিছু বলতে পারছি না। এটা একটা ভিন্ন ধরনের নির্বাচন, এখানে নির্বাচকমণ্ডলী ভোট দেবেন। তার পরও সবাই বসব, এ বিষয়ে এককভাবে আমি কিছু বলতে পারব না যে কালকে কী করব বা আরো কী করব। আপনারা দেখেন।