আজ শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১ম পর্বের খেলা। উদ্বোধনী ম্যাচে টসে জিতে নামিবিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে ১৬৩ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় দলটি।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাকফুটে চলে যায় লঙ্কানরা। যেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি ভালো অবস্থানে। ফলসরূপ নামিবিয়ার মতো দুর্বল দলের কাছে ৫৫ রানের পরাজয়বরণ করতে হয় এশিয়া চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচের শুরুতেই লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট করার চেষ্টা নামিবিয়ার। কিন্তু অভিজ্ঞ লঙ্কান ক্রিকেটাররা তাদের স্কোর করার পথ রূদ্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত উইকেটও তুলে নেয়।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শ্রীলঙ্কাকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন দুষ্মন্তে চামিরা। ৬ বলে ৩ রান করে প্রমোদ মধুশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাইকেল ফন লিংগেন।
স্টেফান বার্ড আর অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাসের ৪১ বলে ৪৩ রানের জুটি স্থিতি দিয়েছে নামিবিয়াকে। তবে ইরাসমাসকে হারানোর কিছু পর বার্ড আর ডেভিড ভিসার উইকেট খুইয়ে আবারও বিপাকে পড়েছিলো দলটি।
এরপর রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্ব নেন ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক আর ইয়োহাম্ন স্মিট। দুজন মিলে সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩৩ বলে যোগ করেন ৬৯ রান, যা সপ্তম বা তার নিচের উইকেট জুটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ। শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানের সংগ্রহ পায় নামিবিয়া।
১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই কুশল মেন্ডিসকে হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর চতুর্থ ওভারে দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের চাপে ফেলে দেয় নামিবিয়ার পেসার বেন শিকঙ্গো। এলবিডব্লিউ করে হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি করেছিলেন তিনি, কিন্তু সফল হননি শিকঙ্গো।
এরপর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে তুলে নেন জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক। এরপরই হারের শঙ্কা জাগে লঙ্কান শিবিরে। এরপর রাজাপাকসেকে ফেরান স্কল্টজ।
অধিনায়ক শানাকার ব্যাট থেকে দলীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান এলেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। সবগুলো উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের ইনিংস থামে ১০৮ রানে।
এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য থাকছে ১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৪৪০ টাকা। রানার্সআপ দল পাবে ৮ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬ কোটি ৮৪ লাখ ১৪ হাজার ৭২০ টাকা। সেমি থেকে বাদ পড়া দুই দল পাবে ৪ লাখ মার্কিন ডলার বা ৩ কোটি ৪২ লাখ ৭ হাজার ৩৬০ টাকা করে পাবে। প্রতি ম্যাচে বিজয়ী দল পাবে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার করে।
সুপার টুয়েলভ ছাড়াও প্রথম পর্বে জয় পাওয়া দলগুলোও একই পরিমাণ অর্থ পাবে। সুপার টুয়েলভ থেকে যারা বাদ পড়বে, তারা পাবে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার করে।
বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ দেখা যাবে জিটিভিতে। এ ছাড়া পাকিস্তানের পিটিভি স্পোর্টস ও ভারতের স্টার স্পোর্টস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খেলা সম্প্রচার করবে।