আচমকা জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়ায় ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তবে রাত ১১টার পরও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলো না। ফলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।
এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এ ঘটনা ঘটেছিলো ঘোড়াশালে।
বুধবার (০৫ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করে পিজিসিবি’র মহাপরিচালক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ঘোড়াশাল থেকে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ নেয়ার সময় বিপর্যয়ের সূত্রপাত হয়। তবে সেটি কেনো হয়েছে, তা বলতে পারেনি তারা। ঘটনা অনুসন্ধানে দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এ বিপর্যয়ের বিষয়ে বিদ্যুৎ সচিব বলেন, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি সাব-স্টেশনের মাঝখানে যে ইন্টার কানেকশন রয়েছে, সেখানেই মূলত সমস্যা। কিন্তু সমস্যাটা কেনো হলো সেটা এখনো জানা যায়নি। তা উদঘাটনের জন্য আমাদের অভিজ্ঞ টিম সেখানে গেছে। বর্তমানে সারাদেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।