সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের রংপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মহিবুর রহমান লোকমান দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে তার পরিবর্তে তার ছোট বোন মোছা. শিউলী ক্লিনিকের দায়িত্ব পালন করছেন। যা নিয়ম বহির্ভূত। বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভাটাপাড়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে মহিবুরকে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও সিল জাল করে সেচে কাজের জন্য লাইসেন্স তৈরি ও নবায়ন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্থ করে গত ২৮ আগস্ট কারাদন্ড দেন নেত্রকোনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩। ওইদিন থেকেই ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে শিউলী নিয়ম বহির্ভূতভাবে ক্লিনিকের দায়িত্ব পালন করছেন। এতে করে রোগীরা ঝুঁকিতে পড়ছেন।
মোছা. শিউলী জানিয়েছেন তার ভাই কোথায় আছে তিনি তা জানেন না। আর তিনি এমএইচবি হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথায় ক্লিনিকের দায়িত্ব পালন করছেন।
ক্লিনিকের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য টিটু মিয়া বলেন, প্রায় এক মাস ধরে ক্লিনিক বন্ধ। রোগীরা সেবা পাচ্ছে না।
একই কমিটির সদস্য বকুল মিয়া বলেন, ‘মহিবুরের পরিবর্তে তার বোন অসুধ দিচ্ছে। কিন্তু ঠিকমতো অসুধ দিতে না পারলে রোগীর সমস্যা হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোশতানসির বিল্লাহ বলেন, ‘মহিবুরের অনুপস্থিতির কারণ আমাদের জানা নেই। তাকে ইতোমধ্যে দুইবার শোকজ করা হয়েছে এবং তার কোনো জবাব পাইনি। ফলে তার বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। এমএইচবি (শিউলী) রোগীদের ওষুধ দিতে পারে না। মহিবুর কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’