‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরার কারণে এক নারীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। গ্রেপ্তারের তিনদিন পর গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ইরানের সাকেজে শহরে। এই শহরেই দাফন করা হয়েছে মাহসা আমিনিকে। তার জানাজায় অংশ নেওয়া জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন মাহসাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রমাণস্বরূপ নৈতিকতা পুলিশ থানা হেফাজতের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে।
তবে মাহসার পরিবার দাবি করছে তার কোনো ধরনের হৃদরোগ ছিল না। এদিকে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, ফুটেজটি এডিট করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘গাশত-ই এরশাদ’ নামের এই নৈতিকতা পুলিশ মাহসাকে থানায় নেওয়ার পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কোমায় থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। পুলিশ তাদের ওপরও হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায় বিক্ষুব্ধ জনতা সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে। তারা মাহশার মৃত্যুর জন্য আয়তুল্লাহ আলী খামেনির স্বৈরাচারিতাকে দায়ী করেন।
মাহসা নামের ওই তরুণী চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইরানের কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে রাজধানী তেহরানে তার আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এসময় ‘সঠিকভাবে’ হিজাব না পরায় তাকে আটক করে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। যুক্তি হিসেবে তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, চুল পুরোপুরি না ঢাকার জন্য মাহসা আমিনিকে আটক করা হয়েছে।