বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের ছোট ভাই, অভিনেতা, প্রযোজক ও নির্মাতা সোহেল খান এখন ঢাকায়। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ভাই সালমান খানের ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘বিয়িং হিউম্যান’-এর শাখা উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সোহেল খান। তিনি বলেন, ‘বিয়িং হিউম্যান চ্যারিটির একটি অংশ। যদি ভালো সাড়া পাওয়া যায় তাহলে ঢাকায় আরও কিছু শাখা করার ইচ্ছা আছে। আমরা এটাকে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে দিতে চাই।’
এই তারকা বলেন, ‘আমি বাংলা ফুডের অপেক্ষায় আছি। এখনও মুখে তোলার সুযোগ পাইনি। সরাসরি এসেছি। তবে খাওয়ার সময় হাতে রেখেছি। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আছি। মাছ আর বিরিয়ানি খাবো ভাবছি। তাছাড়া খাবার বিষয় না, সবার ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।’
বাংলাদেশের মানুষের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এখানে এসে আপনাদের দেখে অসাধারণ লাগছে। কারণ, প্রতিটি মানুষ হাসিখুশি। মনে হচ্ছে সবাই সুখী। আরও মনে হলো, সবাই সালমান খানের এই উদ্যোগের অংশীদার। অথচ আমি এখানে নামার আগে খুব নার্ভাস ছিলাম। মনে মনে ভাবছিলাম, সালমানের বদলে আপনারা আমাকে গ্রহণ করবেন তো!’
বাংলাদেশের সিনেমা নিয়েও কথা বলেন সালমান খানের ছোট ভাই, ‘বাংলাদেশের সিনেমা আমি দেখেছি। ভাষাটা না বুঝলেও আমাদের কালচার তো একই। নাচ-গান-অভিনয়, দারুণ লাগে। তাছাড়া বাংলাদেশ এখন গ্রোয়িং কান্ট্রি। হলিউড, বলিউড, টলিউড, ঢালিউড- খুব দ্রুতই এক হয়ে যাবে। কারণ, এখন সিনেমাটা গ্লোবালি মুভ করছে।’
সালমান কি বনানীর আউটলেটে কখনো আসবেন না! এমন প্রশ্নের জবাবে বিস্ময় প্রকাশ করেন সোহেল। বলেন, ‘এটা তো ওরই দোকান! পৃথিবীর যেখানেই থাকুক ও এখানে আসবেই। বাট এই মুহূর্তে ওর আসার পরিস্থিতি ছিল না বলেই আমি এলাম- এই হাসিমুখ দেখতে।’
এর আগে শো রুমের সামনে নেচে গেয়ে বলিউড ভাইজানের ভাইকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও সঞ্জিব রাও এবং সালমান খানের ভাতিজা আয়ান অগ্নিহোত্রি।
উল্লেখ্য, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ২০১২ সালে মুম্বাইয়ে যাত্রা শুরু করে সালমান খানের চ্যারিটি সংস্থা ‘বিয়িং হিউম্যান ক্লদিং’। এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৫টি দেশে এর ৫০০টিরও বেশি আউটলেট খোলা হয়েছে। পোশাকের এই ব্র্যান্ড বিক্রয়ের লভ্যাংশের একটা অংশ ব্যয় করা হয় সমাজের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য উন্নয়নে।