বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দ্রবমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে কাজ বন্ধ থাকায় সুনামগঞ্জের ঠিকাদারদের সাথে কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট সভা করেছে এলজিইডি।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা এলজিইডি’র সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট এলজিইডি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ আলম, সুনামগঞ্জ এলজিইডি’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী হরজিত সরকার, সহকারী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, হিলিপ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান, সদর উপজেলার প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, ছাতক উপজেলার প্রকৌশলী আফছর আহমদ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী আল নূর তারেক।
এ সময় ঠিকাদারদের মধ্যে বক্তব্য দেন, এলজিইডি’র ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক শংকর দেব, ঠিকাদার নুরুল ইসলাম, রেনু মিয়া, মো. মঈনুদ্দিন, রাজিব আহমেদ প্রমুখ।
সভায় ঠিকাদাররা বলেন, সুনামগঞ্জের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে আমরা কোনো কাজ করতে পারছি না। এ অবস্থায় বর্তমান রেট সিডিউল অনুযায়ী কাজ করলে আমাদের ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। যার জন্য সুনামগঞ্জের ঠিকাদারবৃন্দ ইতোমধ্যেই টেন্ডার বয়কট করেছেন।
তারা বলেন, বর্তমান বাজার দরের সাথে সমন্বয় না করে আমাদের পক্ষে কোনো কাজ করা করা সম্ভব না। আমরা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর কন্ট্রাক্টর ওয়েলফেয়ারের উদ্যোগে সিলেট বিভাগের চার জেলার ঠিকাদারদের সাথে মতবিনিময় করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো।
সভায় সুনামগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, আমরা সবাই এখন একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। যার ফলে আমরা অনেক কিছু করতে হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের আবারও নতুন করে সবকিছু নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করবো সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে আমাদের সাথে থাকবেন। সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কারণে যে সকল কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে, বর্তমানে এই কাজগুলো দেশের স্বার্থে দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য উপস্থিত ঠিকাদারদের প্রতি আমি অনুরোধ জানাই। অনেক কাজ বন্যার কারণে পড়ে আছে, যা আমাদের শেষ করতে হবে।
এর আগে এলজিইডি’র সকল সদস্যদের নিয়ে জাতীয় শুদ্ধাচারের আওতায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।