সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের চার ভাতিজা।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়খাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজীর আহম্মদ রোববার সকালে কলেজে আসলে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের ভাতিজা দেলোয়ার হোসেন অফিস কক্ষে ঢুকে তার সহযোগীদের উপস্থিতে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়। পরে অধ্যক্ষ আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করতে গেলে সেখানে আগে থেকে ওতপেতে থাকা চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজা বড়খাল গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের পুত্র দেলোয়ার হোসেন, আবদুল মোক্তাদির (কাপ্তান) মিয়ার পুত্র মোখলেছুর রহমান ও ফয়জুর রহমান, আবদুল মতিনের পুত্র সোহাইব আহমদ রুমের দরজা বন্ধ করে লোহার পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। চেয়ারম্যানের পরিবারকে নিয়ে কেন কটুক্তি করা হল; এসব বলে লোহার পাইপ দিয়ে চারজন মিলে অধ্যক্ষকে বেধড়ক মারপিট করে।
পরে অধ্যক্ষের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে তাদের কবল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় দোয়ারাবাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা অধ্যক্ষকে হাসপাতালে দেখতে যান। এসময় দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেব দুলাল ধরকে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ারজন্য পরামর্শ দেন।
শিক্ষক পেটানোর ন্যক্কারজনক ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা শিক্ষক সমিতি এবং সুশীল সমাজের লোকজন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ সোমবার এক প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দিয়েছে।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান এম আবুল হোসেনের মুঠোফোনে বারবার কল দিয়েও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, আহত অধ্যক্ষকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।