বিয়ানীবাজারে পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন, মিলবে দৈনিক ৫-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ কমলাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত গ্যাস কূপ পুনঃখনন করে নতুন করে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। এটি হচ্ছে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ। একাধিকবার গ্যাস উত্তোলিত হয়ে বন্ধ থাকা পর নতুন করে গ্যাস উত্তোলনের জন্য পুনঃখননকাজ শুরু করেছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই কূপ থেকে প্রতিদিন ৫-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুনঃখননকাজ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। একইসাথে ওইদিন গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপও গ্যাস উত্তোলনের জন্য পুনঃখনন কাজ শুরু করা হয়।

পরিত্যক্ত গ্যাস কূপগুলো পুনঃখনন কাজ উদ্বোধনকালে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে সর্বপ্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এরপর টানা প্রায় ২৩ বছর গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলমান থাকলেও ২০১৪ সালে এসে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৬ সালে ফের উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষদিকে পুনরায় সেই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই এই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালায়। অনুসন্ধানে কূপটিতে গ্যাস মজুদ থাকার ফলাফল আসে। এরই প্রেক্ষিতে ওই কূপ পুনঃখনন করে পুনরায় গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ২ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে সাড়ে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।

এদিকে, পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন কাজ উদ্বোধন শেষে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পুনঃখননকাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপরই উৎপাদনে যাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৫-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে খননকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।