হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমেদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সদস্যরা। এ ব্যাপারে স্কুল কমিটি গত ২ বছর পূর্বে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৯ সালে যোগদান করেন নোমান আহমেদ। এর পর থেকেই স্কুলটি নানা রকম অনিয়মের আখড়া হয়ে ওঠে। তার কাছে হিসাব চেয়ে হিসাব পায়নি স্কুল কমিটির কেউ। তাছাড়া বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দের টাকা দিয়েও বিদ্যালয়ের উন্নয়নে তার দ্বারা কোনো কাজ হয় না। সব বিষয় নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে তাকে ভালো হয়ে চলার পরামর্শ দিলেও তিনি স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক কাউকে তোয়াক্কা করছেন না। এমতাবস্থায় শিক্ষাক্ষেত্রে উক্ত বিদ্যালয় অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবক সমিতির সভাপতি এবং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আশাহিদ আলী আশা বলেন, স্কুলের যে কোনো কাজ হলে তিনি তা মনগড়া করে বসেন। স্কুলের অনেকগুলো বেঞ্চ, টিন ভাঙা। আমরা কমিটির সবাই মিলে প্রধান শিক্ষককে বলি সেগুলো বিক্রি করে স্কুলের কোনো কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু তিনি কমিটির কারও কথার তোয়াক্কা না করে মনগড়া সিদ্ধান্ত নেন। একসময় এসব ভাঙা বেঞ্চ ও টিন কে বা কারা নিয়ে গেছে। এতে স্কুলের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া স্কুল কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত তিনি তা মানতে নারাজ। সরকারি বরাদ্দ এলে তিনি রেজুলেশন খাতায় কমিটির কাছ থেকে অগ্রিম স্বাক্ষর নিয়ে টাকা উত্তোলন করে পরবর্তীতে যে কাজগুলো হয় তা তিনি আমাদেরকে অবগত করেন না।
ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চিনু সূত্রধর বলেন, স্কুলের কোনো কাজ করাতে হলে নিজ ইচ্ছামতো করেন প্রধান শিক্ষক। ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবক কমিটির কাউকে কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না তিনি। নোমান আহমেদের কারণে স্কুল থেকে অনেক শিক্ষার্থী চলে যাচ্ছে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে। এতে করে আমাদের স্কুলের বিশাল ক্ষতি হচ্ছে।
ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি বদরুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক স্কুলে যোগদান করার পর থেকেই তিনি যা ইচ্ছা তা-ই করছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে ইনাতগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।