আজ মাঠে নামবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। কিন্তু সবাই হিসাব কষছেন ভারত কীভাবে ফাইনালে যেতে পারবে! পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছে পরপর দুই ম্যাচে হেরে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি আসরে ভারতের ফাইনাল খেলা ঝুলে গেছে। একইভাবে পরপর দুই ম্যাচ জিতে শ্রীলঙ্কারও ফাইনাল খেলা নিশ্চিত হয়নি।
তবে শ্রীলঙ্কার ফাইনাল খেলা যেমন অনেকটা সহজ হয়ে এসেছে, তেমনি ভারতের হয়ে উঠেছে বেশ কঠিন। অনেকগুলো যদির উপর নির্ভর করছে ভারতের ফাইনাল খেলা। যার প্রথম যদি হলো আজ আফগানিস্তানের কাছে পাকিস্তানকে হারাতে হবে। এরপর আসবে বাকি যদিগুলো। কিন্তু সব যদিরই অবসান হয়ে যেতে পারে আজ পাকিস্তান জিতে গেলে। বাদ পড়বে ভারত। ফাইনাল নিশ্চিত হবে পাকিস্তানের সঙ্গে শ্রীলঙ্কারও। সেক্ষেত্রে সুপার ফোরে শেষ রাউন্ডের সবগুলো খেলাই হয়ে উঠবে আনুষ্ঠানিকতার।
আয়োজকদের চাওয়া পাক-ভারত ফাইনাল ‘যদি’ নির্ভর হয়ে উঠে জ্বলছে নিভু নিভু করে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে এশিয়া কাপের পনেরতম আসরও ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল হচ্ছে না? তারপরও যে কয়টি ‘যদি’ আছে তা দিয়ে আয়োজকরা চাইবেন যেন তা বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু আসরে পাকিস্তান যে রকম দারুণ ক্রিকেট খেলছে তাতে করে আফগানিস্তানের কাছে তাদের হার প্রত্যাশাই করা যায় না। আবার অতীত রেকর্ড বাজালেও সেখানে শুনতে পাওয়া যায় পাকিস্তানের জয়গান। দুইবারের মোকাবিলাতে দুইবারই জয়ী দলের নাম পাকিস্তান। ২০১৩ সালে ৬ উইকেট জেতার পর গত বছর এই দুবাইয়েই জিতেছিল ৫ উইকেটে। সেখানে কী পাকিস্তানের হারের কথা ভাবা যায়?
অবশ্য আয়োজক থেকে শুরু করে সবার চাওয়া পূরণ হতে পারে একটি জায়গাতে। আর সেটি হলো ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান। কিন্তু ইদানিং পাকিস্তানের সঙ্গে আর সেই আনপ্রেডিক্টেবল শব্দটি খুব একটা বেশি দেখা যায় না। তাই এখানেও হতাশার চাদরে ডাকা।
ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হার দিয়ে আসর শুরু করা পাকিস্তান এর পাল্টা জবাব দিয়েছে সুপার ফোরে একই ব্যবধানে জিতে। মাঝে গ্রুপ পর্বে হংকংকে উড়িয়ে দিয়েছিল ১৫৫ রানে। এটি ছিল চলতি আসরে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়। আবার এই ম্যাচে পাকিস্তকানের করা ২ উইকেটে ১৯৩ রানও এবারের আসরের দলগত সর্বোচ্চ। একই ম্যাচে হংকংয়ের মাত্র ৩৮ রানে অলআউট হয়ে যাওয়াটাও ছিল এই আসরের দলগত সর্বনিম্ন।
আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল বেশ দাপুটে। ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখা শ্রীলঙ্কাকে তারা প্রথম ম্যাচে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে। তারচেয়েও বড় দেখার বিষয় ছিল শ্রীলঙ্কার ১০৫ রান আফগানদের ১০.১ ওভারে পাড়ি দেওয়াটা। পরের ম্যাচে তারা বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৭ উইকেটে। অবশ্য জয়ের ব্যবধান বড় হলেও জয় পেতে আফগানদের কঠিন বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। বাংলাদেশকে মাত্র ১২৭ রানে আটকে রেখে আফগনরা সেই রান অতিক্রম করেছিল ৭ বল হাতে রেখে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেরা হয়ে সুপার ফোরে উঠে আসা আফগানরা তা আর ধরে রাখতে পারেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭৩ রান করেও জিততে পারেনি। শ্রীলঙ্কা সেই রান তাড়া করে ৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে।
সবাই ভারতকে নিয়ে হিসাব-নিকাশ করলেও ম্যাচ জিততে পারলে সেই হিসেবে শামিল হবে আফগানিস্তানও। তাই তারাও চাইবে না আসর থেকে বাদ পড়তে। লক্ষ্য থাকবে পাকিস্তান বধের মিশনও।