সোমবার নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে যুক্তরাজ্য। এদিন সন্ধ্যায় নাম জানা যাবে নতুন প্রধানমন্ত্রীর। কনজারভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস (৪৭) অথবা সেই দলের সাবেক চ্যান্সেলর রিশি সুনাক (৪২) দুজনের মধ্যে একজন হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যেও আগ্রহের শেষ নেই। কেউ বলছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রিশি সুনাক হচ্ছেন, আবার কেউ বলছেন, লিজ ট্রাস’র প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
লন্ডন বাসিন্দা তোফায়েল চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে এসেছি বছর দু’য়েক আগে। যুক্তরাজ্যের রাজনীতি সম্পর্কে তেমন ধারণা না থাকলেও নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন তা নিয়ে আগ্রহ আছে। প্রতিদিনই টিভির পর্দায় চোখ রাখি আপডেট জানতে।’
লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা বরিস জনসন গত ৭ জুলাই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হন। তার পদত্যাগের পর শুরু হয় দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া। তবে প্রবাসীদের আগ্রহ নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে।
শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, ‘প্রভাবশালী দেশ হিসাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কে হচ্ছেন সারা বিশ্বের আগ্রহ এখন তুঙ্গে। আমরা প্রবাসীরাও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।’
লুটনের বাসিন্দা মাহবুব সুয়েদ বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের অভিবাসীদের অধিকাংশই লেবার পার্টির সমর্থক। একারণে কে হচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে তাদের আগ্রহ কম। তিনি বলেন, শ্বেতাঙ্গদের সমর্থনে লিজ ট্রাসের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’
যুক্তরাজ্যের এবি নিউজের সম্পাদক শাকির হোসাইন বলেন, ‘রিশি সুনাক করোনাকালীন সময় চ্যান্সেলরের দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় তাঁর নেয়া স্কিমে আমাদের স্বল্প, মধ্যম আয়ের মানুষ ও ব্যবসায়ীরা অর্থনৈতিক সুবিধা পেয়েছিলেন। একারণে রিশি সুনাকের প্রতি আমাদের প্রবাসীদের কিছুটা আগ্রহ আছে। তবে, লিজ স্ট্রাস বা রিশি সুনাক যে ই প্রধানমন্ত্রী হোক, দেশটির বৈধ ও অবৈধভাবে বসবাস করা প্রবাসী ও দেশের অর্থনীতি জন্য ভালো কোন সংবাদ নিয়ে আসবেন বলে মনে হয় না।’