রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের একটি ট্রেন স্টেশনে ২২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। হামলার পর যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে আগুন ধরে যায়। কিয়েভের কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুধবার (২৪ আগস্ট) ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় তিনি বলেন, রাশিয়ার হামলায় ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের প্রায় তিন হাজার ৫০০ জন লোকের শহর চ্যাপলাইনে ট্রেনের বগিতে আগুন লেগে যায়।
জেলেনস্কি বলেন, উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চ্যাপলিন আমাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক। এই মুহুর্তে ২২ জন মারা গেছেন।
জেলেনস্কির সহযোগী কিরিলো টাইমোশেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী চ্যাপলিনে দুইবার গোলাবর্ষণ করেছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম তার বাড়িতে আঘাত হানলে একটি ছেলে নিহত হয় ও পরে দ্বিতীয় বার যখন ট্রেন স্টেশনে হামলা চালানো হয় তখন ২১ জন মারা যান।
যদিও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া। এদিকে এ হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তাছাড়া ৩১তম স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বুধবারের ওই বক্তব্যে তিনি বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর তাদের দেশের পুনর্জন্ম হয়েছে। মস্কোর আধিপত্য থেকে মুক্তির জন্য তারা লড়াই ছাড়বে না বলেও অঙ্গীকার করেছেন তিনি। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রায় ছয় মাস ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত চলছেই।