মন্ত্রিসভায় সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিউক) আইন অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সিলেটে র্যালি করেছেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নগরীর কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের সামনে থেকে ‘সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ, সিলেট’র উদ্যোগে এই কৃতজ্ঞতা র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রিয় শহিদমিনারে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমএ সিলেটের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম হাফিজের সভাপতিত্বে ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এ কে এম ফজলুর রহমানের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, সিলেটের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে নিয়েছেন। তাই সিলেটে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনও সিলেটের উন্নয়নে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তার প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী সিলেটবাসীকে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উপহার দিয়েছেন। এতে সিলেটের পরিকল্পিত উন্নয়নের পাশাপাশি সেবার পরিধিও বৃদ্ধি পাবে।
বক্তারা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সিলেট-ঢাকা ৬ লেনের মহাসড়ক, ওসমানী বিমানবন্দরের উন্নয়নে মেগা প্রকল্প, নতুন বিসিক নির্মাণ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিমানবন্দর-বাদাঘাট বাইপাস চারলেন সড়ক, নগরীর জলাবদ্ধতা ও সড়ক সম্প্রসারণে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের পর প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের চেহারা পাল্টে যাবে। এজন্য সিলেটবাসী তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।
এছাড়া সভায় বক্তব্য দেন, শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদালয়ের অধ্যাপক ড. জহির আহমেদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইসরাত ইবনে ইসমাইল ও সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল, আরটিএম-আল কবীর টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ, সিলেট জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী (জিপি) অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক ও জগদীশ চন্দ্র দাশ, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুমিনুল হক, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি ফেরদৌস চৌধুরী রুহেল, সিলেট রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-ইমজার সভাপতি মঈন উদ্দিন মনজু, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জাহের আহমদ, মঈন উদ্দিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের প্রধান পার্থ সারথী নাগ, বাংলা বিভাগের প্রভাষক আলমগীর হোসেন, সীমান্তিক কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রউফ, সিলেট জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোবাশ্বির আলী, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মামুন আহমদ ও মহানগর শাখার সভাপতি আবদুল মুমিত, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামস উদ্দিন শামস, বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন-বিএনএ’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইসরাইল আলী সাদেক প্রমুখ।