নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যে দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরও অবস্থা তাই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ভালো নেই নবীগঞ্জের ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। বেশিরভাগ দিনই সবজি বা ডাল দিয়ে খেয়ে কোনমতে জীবনযাপন করছেন তারা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে অনেকে আবার ধার-দেনা করেও সংসারের ঘানি টানছেন। তবুও, জনমনে ধারণা, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের বাজারেও ভালো আছেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। কেউ খবর রাখছেনা সমাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই মানুষগুলোর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়- পৌর শহরের মসজিদগুলোর ইমামদের বেতন ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা। মুয়াজ্জিনদের বেতন ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা।
অন্যদিকে গ্রাম্য এলাকার মসজিদগুলোর ইমামদের বেতন ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা এবং মুয়াজ্জিনদের বেতন ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। গ্রামে অনেক সময় দেখা যায় ইমাম এবং মুয়াজ্জিনের কাজ একই ব্যক্তি করছেন।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির লাগামহীন ছুটাছুটিতে সাধারণ মানুষ যখন দিশেহারা সেখানে নামমাত্র বেতনে কাজ করছেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা। কেউ খবর রাখছেনা- মাসে মাত্র ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতনে কীভাবে জীবন অতিবাহিত করছেন ইমামরা।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল আজিজ বলেন- সবার বেতন বা সুযোগ সুবিধা বাড়লেও আমাদের কোনো সুযোগ সুবিধা বাড়ে না। বর্তমানে খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। ডাল ভাত খেয়ে পরিবারের সদস্য নিয়ে কোনোভাবে জীবনযাপন করছি। মাস শেষে ধার-দেনা করতে হচ্ছে। আমাদেরও চাহিদা আছে কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং স্বল্প সম্মানীর কারণে আমরা চাহিদা পূরণ করতে পারছিনা। দিন দিন যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে জানি না আমরা কিভাবে জীবনযাপন করব। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করার জন্য সরকার, মসজিদ কমিটি, এবং সমাজের বিত্তবানদের প্রতি দাবী জানাই।