মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেছেন চা-শ্রমিকরা। রোববার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকায় জড়ো হয়ে তেলিয়াপাড়া, সুরমা, নোয়াপাড়াসহ ৫টি বাগানের চা-শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং মহাসড়ক অবরোধ করেন।
মনু ধলাই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরি বলেন, করোনাকালে যখন সবকিছু বন্ধ ছিল, তখনও আমাদের শ্রমিকরা করোনার ভয় কাটিয়ে কাজ করে গেছেন। আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের ২৩টি চা-বাগানে কাজ বন্ধ থাকবে। দাবি আদায়ে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা আমরা প্রত্যাহার করলাম।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, সারাদেশে ধর্মঘট চলবে।
বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নৃপেন পাল বলেন, ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকে ৯ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। এতে তাদের দাবি আদায় না হওয়ায় ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস এ কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। সমস্যা সমাধানে ১৬ আগস্ট শ্রীমঙ্গলের লেবার হাউজে সকাল ১১টায় শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি গুরুত্ব সহকারে আমাদের কথাগুলো শোনেন এবং আমাদের আস্বস্থ করেন। তখন শোকের মাস বিবেচনা করে আমরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও রাজপথের আন্দোলন স্থগিত করি।
তিনি বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় শ্রম অধিদপ্তরে চা-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও মালিক সংগঠন বাংলাদেশ চা-সংসদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন। কিন্তু তখনও আমাদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় গত বৃহস্পতিবার মাধবপুরের জগদীসপুরে মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।